ঢাকা: ঘোর অন্ধকারে শেখ হাসিনার ভবিষ্যৎ। সেদিনও যিনি ছিলেন বাংলাদেশের সর্বময় নেত্রী, তাঁর দিন কাটছে নির্বাসিতের মতো। ভারতেই আছেন হাসিনা। তবে কোথায়, জানা যায়নি। পরবর্তী গন্তব্য নিয়েও চলছে জল্পনা। এর মধ্যেই ওপার বাংলায় চলছে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠনের তৎপরতা। বাতিল করা হয়েছে মহম্মদ ইউনুসের ছ’মাসের জেলের সাজা। সরকারের প্রধান হিসেবে আজ, বৃহস্পতিবারই শপথ নিতে চলেছেন তিনি। রাত ৮টা নাগাদ হতে পারে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। বুধবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে একথা ঘোষণা করেন সেদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ-জামান। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই প্যারিস থেকে ঢাকার পথে রওনা দেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে তিনি দেশে পৌঁছবেন।
এই পরিস্থিতিতেই এদিন ঢাকার নয়াপল্টনে নিজেদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বাইরে বিশাল জনসমাবেশ করে বিএনপি। সেখানেই একটি ভিডিওর মাধ্যমে দেশবাসীকে হিংসার পথ ত্যাগ করার আর্জি জানিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ‘বীর সন্তানরা মরণপণ সংগ্রাম করে অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। এবার শোষণহীন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, সকল ধর্মের, গোত্রের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’ খালেদা-পুত্র তারেক রহমানও ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য রেখেছেন ওই সভায়। নৈরাজ্য বন্ধের পাশাপাশি দ্রুত নির্বাচন করার দাবিও তুলেছেন তিনি।
নোবেলজয়ী ইউনুস যে পরবর্তী সরকারের প্রধান হতে চলেছেন, তা স্থির হয়ে গিয়েছিল মঙ্গলবার রাতেই। রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিনের ডাকা বৈঠকে। শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে গ্রামীণ টেলিকম চেয়ারম্যান ইউনুসের ছ’মাসের বিনাশ্রম কারাবাসের সাজা হয়েছিল। এর পরই বুধবার সকালে সেই রায় বাতিল করে দিয়েছে শ্রম আদালত। তাঁকে বেকসুর খালাস করা হয়েছে। সূত্রের খবর, অন্তর্বর্তী সরকারে ১৫ জন মন্ত্রী থাকতে পারেন। তবে পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি হয়নি। সরকারের কাজের রূপরেখা ইতিমধ্যে স্পষ্ট করে দিয়েছেন ইউনুস। তাঁর সাফ কথা, ‘আমরা হিংসার পথে চললে সব কিছু শেষ হয়ে যাবে।’
এদিকে, শেখ হাসিনার ভবিষ্যৎ গন্তব্য হিসেবে আরও দুই দেশের নাম সামনে এসেছে। ভারত থেকে দুবাই বা সৌদি আরব যেতে পারেন তিনি। যদিও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় জানিয়েছেন, মা আপাতত কারও কাছে আশ্রয় চাননি। আপাতত ভারতেই থাকবেন।