• মন্ত্রিসভায় রদবদল চূড়ান্ত, সেচ মানসের
    বর্তমান | ০৮ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অনেক টালবাহানার পর মন্ত্রিসভার রদবদল সংক্রান্ত ফাইলে অনুমোদন দিয়েছেন রাজ্যপাল। মঙ্গলবার রাজভবন সেই ফাইল ছেড়ে দেয়। তাই আর কালক্ষেপ না করে বুধবারই মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল স্বরাষ্ট্রদপ্তর। সেখানে দেখা যাচ্ছে, এতদিন ক্ষুদ্র সেচদপ্তরের দায়িত্ব সামলানো মানস ভুঁইয়াকে সেচদপ্তরের দায়িত্বও তুলে দেওয়া হয়েছে। আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ রদবদল করা হয়েছে মন্ত্রিসভায়।  

    ২০১১ সালে রাজ্যের ক্ষমতায় এসে মানসবাবুকেই সেচদপ্তরের দায়িত্ব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন মানসবাবু কংগ্রেস বিধায়ক ছিলেন। কিছুদিনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট ভেঙে যাওয়ায় এই দপ্তরের মন্ত্রী হিসেবে বেশি দিন কাজ করার সুযোগ পাননি মানসবাবু। পরবর্তীকালে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। তখন সবংয়ের বিধায়ককে ক্ষুদ্র সেচদপ্তরের মন্ত্রী করা হয়। দায়িত্ব পেয়ে মানসবাবু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে যখন যা দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি। এবারও সেই চেষ্টাই করব।’ এই গুরুদায়িত্ব পাওয়ার জন্য দলনেত্রীকে তিনি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। আজ, বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় বিধাননগরের জলসম্পদ ভবনে গিয়ে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বলে জানা গিয়েছে।  পাশাপাশি, এই রদবদলে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের দায়িত্ব বৃদ্ধি করা হয়েছে। গোলাম রব্বানির বদলে এখন থেকে স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিবেশমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাবেন চন্দ্রিমা। আগে থেকেই তিনি অর্থ ও প্রোগ্রাম মনিটরিং দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী রয়েছেন। সেই সঙ্গে তাঁর হাতে রয়েছে স্বাস্থ্য ও ভূমিসংস্কার দপ্তরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। অচিরাচরিত শক্তি দপ্তরের মন্ত্রী করা হয়েছে গোলাম রব্বানিকে। দক্ষিণ কলকাতার এক বিধায়ককে তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরের পাশাপাশি শিল্প পুনর্গঠন দপ্তরের মন্ত্রী করা হয়েছে। 

    এদিকে, কারামন্ত্রী অখিল গিরির ইস্তফা গ্রহণ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ফলে বর্তমানে এই দপ্তরের রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে মন্ত্রী ছিলেন অখিল গিরি। ওই জেলার এক বিধায়ককে মুখ্যমন্ত্রী এই দপ্তরের মন্ত্রী করতে পারেন বলে সূত্রের খবর। 
  • Link to this news (বর্তমান)