• সীমান্তের ওপারে বিএনপির মিছিল, অশান্তি রুখতে তৎপর বিএসএফ
    বর্তমান | ০৮ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বনগাঁ: বাংলাদেশে সরকারের পতন হলেও এখনও অরাজক অবস্থা। এখনও লেগে আছে অশান্তি। সোমবার থেকে শুরু হওয়া অশান্তির রেশ চলে বুধবারও। সেই অশান্তির প্রভাব পড়েছে পেট্রাপোল সীমান্তে। বুধবার সীমান্ত দিয়ে বাণিজ্য হয়নি। যাত্রী চলাচল হলেও তা ছিল খুবই কম। এদিন সন্ধ্যায় সীমান্ত ঘিরে হঠাৎই স্থানীয় মানুষের মধ্যে উদ্বেগের সঞ্চার হয়। সীমান্তে হঠাৎই বিএসএফ জওয়ানের সংখ্যা বাড়তে থাকে। দু’দেশের জিরো পয়েন্টেও প্রবেশ করতে দেখা গিয়েছে তাদের। সেই তৎপরতা দেখে এপারে থাকা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে কৌতূহল বাড়ে। ওপারে বিজিবির সদস্যদেরও দেখা যায় ঘোরাফেরা করতে। বিজিবির একটি গাড়ি একাধিকবার সীমান্তের সামনে ঘোরাফেরা করে।

    কেন হঠাৎ সীমান্তে বাড়ল বিএসএফের সংখ্যা, সেই প্রশ্ন ঘুরছিল মুখে মুখে। মঙ্গলবার পেট্রাপোল সীমান্ত পরিদর্শন করেন বিএসএফের ডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরী। তিনি জওয়ানদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেন। বুধবার সীমান্তে হঠাৎ বিএসএফের প্রস্তুতি নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যার আগে বেনাপোলে একটি মিছিল বের হয়। সূত্রের দাবি, সেদেশে বিএনপি সমর্থকদের মিছিল ছিল সেটি। সেই মিছিল যাতে জিরো পয়েন্টে কোনওভাবে না আসতে পারে, তার জন্য আগাম সতর্কতা হিসেবে বিএসএফের এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও বিএসএফের পক্ষ থেকে এসম্পর্কে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতেই সেদেশে একাধিক জায়গায় শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি ভেঙে ফেলেছে আন্দোলনকারীরা। পেট্রাপোল জিরো পয়েন্টে মুজিবর রহমানের একটি স্মৃতিসৌধ রয়েছে। সেই স্মৃতিসৌধের উপর যাতে আক্রমণ না হয়, তার জন্য সতর্ক দু’দেশের জওয়ানরা। পেট্রাপোল সীমান্তে এক ব্যবসায়ী বলেন, কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশে অচলাবস্থা চলছে। তবে এভাবে হঠাৎ সীমান্তে জওয়ানের সংখ্যা বাড়েনি। ওপারে কী হচ্ছে, তা আমরা কেউই জানি না। নিশ্চয় বিএসএফের কাছে কোনও তথ্য আছে, সেকারণে বাড়তি নিরাপত্তা বাড়তে পারে।
  • Link to this news (বর্তমান)