• বাগুইআটিতে বিল্ডিং প্ল্যান ছাড়াই ৫ তলা নির্মাণ, প্রোমোটার গ্রেপ্তার
    বর্তমান | ০৮ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: কোনওরকম বিল্ডিং প্ল্যান ছাড়াই ‘জি প্লাস ফোর’ বিল্ডিং! বেআইনিভাবে ওই পাঁচতলা বিল্ডিং বানানোর অভিযোগে এক প্রোমোটারকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করল বাগুইআটি থানার পুলিস। বিধাননগর পুরসভার অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম মহেশ দাস। বুধবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল। ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুরসভা জানিয়েছে, বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনাই তার প্রমাণ।

    পুলিস ও পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগুইআটি থানার অধীনে কেষ্টপুরের প্রফুল্লকাননের নন্দনকানন এলাকায় ওই বেআইনি নির্মাণ হয়েছে। এলাকাটি বিধাননগর পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। সেখানে একটি ‘জি প্লাস ফোর’ বিল্ডিং তৈরি করা হয়েছে। আংশিক অংশ ‘জি প্লাস ফাইভ’ অর্থাৎ ছ’তলা বানানো হয়েছে। বেআইনি নির্মাণ নিয়ে গত কয়েকমাস ধরেই অভিযান চালাচ্ছে বিধাননগর পুরসভা। 

    এই নির্মাণটি নজরে আসার পর বিধাননগর পুরসভার পক্ষ থেকে গত ১০ জুলাই স্টপ অর্ডার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। বেআইনি নির্মাণ বলেও উল্লেখ করা হয়েছিল।

    পুরসভার অভিযোগ, স্টপ অর্ডারের বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরেও কাজ বন্ধ হয়নি। ফের সরেজমিনে তদন্তে যান পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা। বিষয়টি নজরে আসতেই গত ৫ তারিখ বিধাননগর পুরসভার পক্ষ থেকে এক সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার বাগুইআটি থানায় প্রোমোটার মহেশ দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এফআইআর রুজু করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল। অভিযোগপত্রে স্পষ্ট লেখা হয়েছিল, পুরো নির্মাণটি বেআইনিভাবে তৈরি করা হয়েছে। কোনও বিল্ডিং প্ল্যান নেই। ওই বেআইনি নির্মাণ এবং অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস এফআইআর রুজু করে। মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত প্রোমোটারকে।

    পুরসভার দাবি, বেআইনি নির্মাণ রুখতে পুরসভার ৪১টি ওয়ার্ডেই কড়া নজরদারি চলছে। কোনও বেআইনি নির্মাণ চোখে পড়লেই সংশ্লিষ্ট প্রোমোটারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুরসভার এই অভিযান জারি থাকবে।
  • Link to this news (বর্তমান)