• ডিএম অফিস চত্বরে শ্রম দপ্তরের অফিসার পরিচয়ে প্রতারণা
    এই সময় | ০৮ আগস্ট ২০২৪
  • এই সময়, তমলুক: জেলাশাসকের অফিস চত্বরে শ্রম দপ্তরের আধিকারিকের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে প্রতারণা! পেনশন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এক প্রৌঢ়ের কাছ থেকে দিনের পর দিন টাকা আদায় করা হয় বলে অভিযোগ। জানতে পেরে তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন যুগ্ম শ্রম কমিশনার অনিন্দিতা ভট্টাচার্য। অভিযুক্তদের এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, অভিযুক্ত যুবক সিটু সমর্থক। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। তমলুকের কিসমত পুতপুতিয়ার বাসিন্দা সুশান্ত বেরা। নির্মাণ শ্রমিকের পেনশন পাওয়ার কথা তাঁর। তিনি গত মার্চ মাসে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানান, শ্রম দপ্তরের যুগ্ম কমিশনারের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে এক যুবক পেনশন পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর কাছ থেকে তিন দফায় মোট ৪১,৬০০ টাকা নিলেও তিনি পেনশন পাননি।

    অভিযুক্তের নাম অরূপ মান্না বলে জানান তিনি। ডিএম অফিস চত্বরে এমন ঘটনার অভিযোগ পেয়ে তিন সদস্যের কমিটি গড়ে তদন্তের নির্দেশ দেন জেলাশাসক। তদন্তের পরে অভিযোগ ঠিক বলে জানায় কমিটি। এক সপ্তাহ আগে তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় প্রতারক অরূপ ও তার সঙ্গীর নামে।

    প্রতারিত সুশান্ত বেরা বলেন, ‘ওরা বলেছিল, টাকা না দিলে পেনশন হবে না। সেই ভয়ে ওদের দাবি মতো টাকা দিয়েছিলাম। ওরা নিজেদের শ্রম দপ্তরের কর্মী ও অফিসার পরিচয় দিয়ে দফায় দফায় টাকা নিলেও পেনশন না হওয়ায় বুঝতে পারি, প্রতারিত হয়েছি। এরপর জেলাশাসকের দপ্তরে অভিযোগ জানাই।’

    অন্য দিকে, অভিযোগের ভিত্তিত তদন্ত শুরু করলেও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলে তমলুক থানার পুলিশ জানিয়েছে। অভিযুক্ত যুবক শ্রম দপ্তরে ডাটা এন্ট্রির কাজ করত বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

    এ নিয়ে যুগ্ম শ্রম কমিশনার বলেন, ‘অভিযুক্তরা কেউ শ্রম দপ্তরের স্টাফ নয়। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।’ তমলুক ব্লক তৃণমূল সভাপতি অর্ণব চক্রবর্তী বলেন, ‘অভিযুক্ত যুবক সিটু সমর্থক। অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’ সিটুর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক সুব্রত পন্ডা বলেন, ‘ওই যুবক সিটুর সমর্থক নয়। রাজনৈতিক কারণে এমন অভিযোগ করা হচ্ছে।’
  • Link to this news (এই সময়)