অনেক ক্রেতাই রয়েছেন, যাঁরা ফ্ল্যাট থেকে টেলিভিশন— বিভিন্ন জিনিস কিনে নানা সময়ে ঠকেছেন। কিন্তু দোকানে গিয়ে বার কয়েক তাগাদা দেওয়ার পরে আর সময় নষ্ট করতে চাননি। নিজেদের টাকা দিয়ে ঠিক করে নিয়েছেন সে সব। যেতে চাননি ক্রেতা সুরক্ষা আদালতেও। অফিস-কাছারি ছেড়ে ছোটাছুটি করতে হবে ভেবে পিছিয়ে গিয়েছেন তাঁরা।এ বার তাঁদের জন্য অনেকটাই সুবিধা করে দিল রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর। ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে সম্প্রতি চালু হয়েছে ভার্চুয়াল শুনানি। ফলে, মামলাকারী এবং অভিযুক্ত, সকলে সেই শুনানিতে অংশ নিয়ে মামলা লড়তে পারছেন। আদালতের একটি বেঞ্চে চালু হয়েছে এই ব্যবস্থা। সূত্রের খবর, এর ফলে ক্রেতা আদালতে মামলার ঝোঁকও বাড়ছে।
আগামী দিনে বাকি বেঞ্চগুলিতেও এই ব্যবস্থা চালু হলে মামলার সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরে তিনটি বেঞ্চ রয়েছে কলকাতায়। সেগুলিতে গড়ে ১০টি বা তার বেশি মামলার শুনানি হয়। তার মধ্যে সাধারণ মামলার পাশাপাশি জেলা বেঞ্চের কিছু মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল মামলাও থাকে। সে ক্ষেত্রে মামলাকারীদের সশরীরে হাজির হতে হয়।
অথবা তাঁদের আইনজীবীদের উপস্থিত থাকতে হয়। সেই সমস্যা থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের ২ নম্বর বেঞ্চে তৈরি করা হয়েছে ভার্চুয়াল শুনানির পরিকাঠামো। কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থে তৈরি হয়েছে এই ব্যবস্থা। এ জন্য ২০-২২ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। নতুন ব্যবস্থায় ওই বেঞ্চের সমস্ত শুনানির লিঙ্ক মামলাকারী তাঁর আইনজীবী, অভিযুক্ত এবং তাঁর আইনজীবীদের আগের দিন পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কেউ অবশ্য চাইলে নিজেও হাজিরায় উপস্থিত থাকতে পারেন।
সূত্রের খবর, এই ব্যবস্থা খুবই জনপ্রিয় হয়েছে। এখনও পর্যন্ত অনেকেই তা জানেন না। ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের পরিকল্পনা রয়েছে, ধীরে ধীরে সব বেঞ্চেই এই ব্যবস্থা চালু করা হবে। তা হলে, ক্রেতা সুরক্ষাকে আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া যাবে।