• ছ’দিন জলবিহীন চন্দনগরের ২টি ওয়ার্ড, পুরসভার ভূমিকায় ক্ষোভ
    বর্তমান | ০৮ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: চন্দননগর পুরসভার ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকায় পানীয় জলের সরবরাহ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়ার পাইপ লাইনের ত্রুটির জন্যই বাসিন্দাদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। তাঁদের অভিযোগ, পুরসভা ছ’দিন ধরে কাজ করেও সমস্যা মেটাতে পারেনি। বিকল্প হিসেবে জলের ট্যাঙ্কার পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তাতে জলের চাহিদা মিটছে না। বাসিন্দাদের দাবি, গত শুক্রবার সুরেরপুকুর এলাকায় পাইপলা‌ইন মারফত গ্যাস সরবরাহের জন্য পাইপ বসানো হয়েছে। তারপর থেকেই পুরসভার জল সরবরাহের লাইন বিকল হয়ে পড়েছে। 

    ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, ভূগর্ভস্থ পাইপলাইন দিয়ে জল সরবরাহ ব্যবস্থা পুরসভা চালু করেছে। কিন্তু সেখানে সমস্যা তৈরি হলে তা চিহ্নিত করার প্রযুক্তিগত দক্ষতা পুরসভার কাছে নেই। সেই কারণেই ছ’দিনেও সমস্যা চিহ্নিত করা যায়নি। যদিও তা অস্বীকার করেছেন পুরসভার মেয়র প্রবীণ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রাম চক্রবর্তী। তিনি বলেন, পুরসভার জলবিভাগের কর্মী, বিশেষজ্ঞরা রাতদিন কাজ করছেন। সমস্যা মেটানোর আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে। স্থানীয় কাউন্সিলার মোহিত নন্দী বলেন, গত শুক্রবার থেকে সমস্যা তৈরি হয়েছে। পুরসভার কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। কিন্তু মানুষ পানীয় জল না পেয়ে তীব্র সমস্যায় পড়েছেন। একদিন দু’দিনের মধ্যে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলতে পারলে মানুষের দুর্ভোগ কম হতো। স্থানীয় বাসিন্দা সুপ্রিয় পাল বলেন, পুরসভা থেকে প্রায় ১০ ঘণ্টা জল সরবরাহ করা হয়। সেই পরিমাণ জল একটি বা দু’টি ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে কি পাওয়া সম্ভব? পানীয় জলের বিপুল সঙ্কটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আর কতদিন সময় লাগবে তাও পুরসভা বলতে পারছে না।

    পুরসভা সূত্রে খবর, সবচেয়ে বেশি সমস্যা তৈরি হয়েছে সুরেরপুকুরে। সেখানে কার্যত বাড়ি বাড়ি জলসঙ্কট তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, ভূগর্ভস্থ একাধিক প্রকল্প নিয়ে হুগলিতে নিত্যদিনই কোথাও না কোথাও সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কিন্ত তা নিয়ে বিকল্প পদক্ষেপ হচ্ছে না। তাতেই মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)