• আবর্জনায় ঢেকে গিয়েছে আবক্ষ মূর্তি, প্রয়াণ দিবসেও ব্রাত্য কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ
    বর্তমান | ০৮ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: হাওড়ার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের এইচআইটি রোড। ব্যস্ততম এই রাস্তার উপর থাকা ডিভাইডারে বাম আমলে সৌন্দর্যায়নের পাশাপাশি বসানো হয়েছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি আবক্ষ মূর্তি। কিন্তু উপেক্ষা আর অবহেলায় বছরের পর বছর সেখানে ব্রাত্যই থেকে গিয়েছেন কবিগুরু। ডিভাইডারের আবর্জনায় ঢেকে গিয়েছে মূর্তিটি। প্রয়াণ দিবসেও কবিকে সম্মান জানাল না কেউই, আক্ষেপ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির দায়িত্বের অভাব বলে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী শিবির।

    ১৯৯১ সালে কবিগুরুর জন্মদিবসে স্থানীয় একটি ক্লাবের উদ্যোগে এইচআইটি রোডের ডিভাইডারের উপর বসানো হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের আবক্ষ মূর্তি। মূর্তি উদ্বোধন করেছিলেন বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য ডঃ নিমাইসাধন বসু। বর্তমানে ক্লাবটির আর অস্তিত্ব নেই। ডিভাইডারের উপর ফুলের গাছ লাগিয়ে সেটিকে রেলিং দিয়ে ঘেরার কথা থাকলেও তা আর হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বছরের পর বছর কবিগুরুর মূর্তি অবহেলাতেই পড়ে থাকে। প্রতি বছর তাঁর জন্ম ও প্রয়াণ দিবস এলে সেখানে মাল্যদান কেউ করে না। স্থানীয় বাসিন্দা জ্যোতির্ময় মুখোপাধ্যায় বলেন, গত পাঁচ-ছ’ বছর আগেও মূর্তির আশপাশে এত জঞ্জাল থাকত না। বর্তমানে রবিঠাকুরের মূর্তি চরম অবহেলায় পড়ে রয়েছে। এটা মোটেই দৃষ্টিনন্দন নয়। সব থেকে দুর্ভাগ্যজনক হল, তাঁর প্রয়াণ দিবসে কেউই শ্রদ্ধা জানাতে এল না।

    বুধবার সকালে সেখানে গিয়ে দেখা গেল, জঞ্জালের ফাঁক দিয়ে কোনওক্রমে দেখা যাচ্ছে রবীন্দ্রনাথকে। মূর্তির চারপাশ ভরে রয়েছে আবর্জনায়। গজিয়ে উঠেছে আগাছা। পাশেই পড়ে রয়েছে ফাঁকা মদের বোতল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এখন আর জায়গাটিকে কেউ পরিষ্কার করে না। উল্টে সেখানে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এ নিয়ে ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার মৌসুমি ঘোষ বলেন, আগে আমি দায়িত্ব নিয়ে আইল্যান্ডগুলি পরিষ্কার করিয়েছিলাম। কিন্তু কেউ বা কারা সেখানে দিনের পর দিন আবর্জনা ফেলে জায়গাটি নোংরা করে ফেলেছে। প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক স্থানীয় বাসিন্দা শুভ্রজ্যোতি দাস বলেন, এটা লজ্জাজনক যে, রবীন্দ্রনাথের মূর্তি আবর্জনার আড়ালে চলে গিয়েছে। পুরসভা চূড়ান্ত উদাসীন। মনীষীর মূর্তি অযত্নে থাকবে, তা কোনওভাবে মানা যায় না। 
  • Link to this news (বর্তমান)