নিউমোনিয়া থেকে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বুদ্ধদেবের, জানালেন চিকিৎসক
এই সময় | ০৮ আগস্ট ২০২৪
প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর ইচ্ছেতেই দেহদান করা হবে। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষযাত্রায় সশ্রদ্ধ সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বৃহস্পতি নয় বুদ্ধদেবের শেষযাত্রা হবে শুক্রবার বিকেলে। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন বুদ্ধদেব। তাঁর ফুসফুসে গুরুতর সংক্রমণও ছিল। শেষদিন অবস্থার অবনতি কী ভাবে?প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসক বলেন, 'এই বর্ষার স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় COPD-র সমস্যা বেড়েছিল। তার সঙ্গেই ছিল ভাইরাল অথবা ব্যাকটেরিয়াল সেকেন্ডারি ইনফেকশন। জ্বর থাকায় তাঁকে উডল্যান্ডস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তিনি হাসপাতালে ভর্তি হতে চাননি। ভোররাত থেকে অবস্থার চূড়ান্ত অবনতি ঘটে। নিউমোনিয়ার জেরে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় ৮টা ২০ মিনিট নাগাদ। অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৪০% হয়ে যায়। আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তাঁর শরীর।'
CPIM-এর সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, 'আপাতত বুদ্ধদেবের দেহ তাঁর পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেই রাখা থাকবে। তাঁর দেহ এরপর নিয়ে যাওয়া হবে পিস ওয়ার্ল্ডে। সেখানেই তাঁর দেহ সংরক্ষণ করা হবে। শুক্রবার সকাল ১০টায় আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের দফতরের নিয়ে যাওয়া হবে বুদ্ধদেবের দেহ। সেখান থেকে বিকেল ৪টের সময় শুরু হবে শেষযাত্রা। তবে বুদ্ধদেবের শেষকৃত্য হবে না। বুদ্ধদেব তাঁর দেহ দান করে গিয়েছিলেন। শেষযাত্রার পরে তাঁর ইচ্ছে অনুযায়ী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দেহ দান করা হবে।' দলীয় সূত্রে খবর, নীলরতন সরকার অথবা এসএসকেএম হাসপাতালে দান করা হবে বুদ্ধদেবের দেহ।
এ দিন দুঃসংবাদ পাওয়ার পর পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে ছুটে যান দলের শীর্ষনেতারা। পৌঁছন CPIM-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, ‘জীবন যুদ্ধে লড়ছিলেন। চিকিৎসকেরাও চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হল না। তাঁর আদর্শ, তাঁর শিক্ষা আমাদের আগামীদিনের পাথেয়।' ভেঙে পড়তে দেখা যায় ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকেও।
প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর বাসভবনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তাঁর ঝাড়গ্রাম সফরে যাওয়ার কথা। মমতা জানিয়েছেন, দুপুরে সেই সফরে রওনা হওয়ার আগে বুদ্ধদেবকে শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বুদ্ধবাবুর শেষযাত্রায় শ্রদ্ধার সঙ্গে সহযোগিতা করবে রাজ্য সরকার। মমতা জানান, দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং ফিরহাদ হাকিমকে তিনি দায়িত্ব দিয়েছেন রাজ্য সরকারের তরফে বিষয়টি তদারকি করার জন্য।