• আমার সঙ্গে কী সম্পর্ক ছিল বুদ্ধবাবুর সেটা বর্তমান বাম নেতারা বুঝবেন না, বললেন কুণাল...
    আজকাল | ০৮ আগস্ট ২০২৪
  • তীর্থঙ্কর দাস, বিভাস ভট্টাচার্য: বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। আবাসনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ২০০০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বাম জমানার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। 

    তার অকাল প্রয়াণে শোকাহত রাজনৈতিক মহল। 

    তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আজকাল ডট ইনকে জানিয়েছেন, সাংবাদিক হিসেবে আমি তার অবদান কোনদিন ভুলতে পারবো না। রাজনৈতিক দিক থেকে তীব্র সমালোচনা এবং বিরোধিতা করেছি। তিনি আরও বলেন, "আমার সঙ্গে বুদ্ধদেব বাবুর যে সম্পর্ক ছিল তা বর্তমানের বাম নেতারা বুঝবেন না। হাজারও ব্যস্ততার মধ্যে থেকে যখনই সাক্ষাৎকার চেয়েছি তখনই তিনি দিয়েছেন। ২০০৬-২০০৭ সালে বুদ্ধদেববাবুর সঙ্গে আমি সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়ার মতন জায়গায় ঘুরে এসেছি এবং তার সাক্ষাৎকার নিয়েছি। তাঁর মৃত্যুতে অত্যন্ত মর্মাহত এবং শোকাহত আমি। আমার নতুন বই 'সাংবাদিকের ডাইরিতে'-ও বুদ্ধদেববাবুকে নিয়ে লেখা আছে। মাসখানেক আগেও সেই বই আমি তার বাড়িতে পাঠাই। কোন কিছুতে না করতেন না তিনি, আলিমুদ্দিনে দেখা হলে ভুল ধরিয়ে দিতেন।"

    প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান আজকাল ডট ইনকে জানিয়েছেন, "নতুন কিছু করার স্বপ্ন ছিল তার চোখে। কখনও মিথ্যে বলতেন না, অত্যন্ত সৎ মানুষ ছিলেন তিনি। একই সঙ্গে কাটানো পুরোনো দিনের স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে। বুদ্ধদেবের মৃত্যুতে অত্যন্ত শোকাহত এবং মর্মাহত। আশা করিনি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এত তাড়াতাড়ি আমাদেরকে ছেড়ে চলে যাবেন।"

    সংসদে ঢোকার আগে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য আজকাল ডট ইনকে জানিয়েছেন, "রাজনৈতিকভাবে বুদ্ধদেবের সমালোচনা করেছি। কিন্তু তার এভাবে চলে যাওয়াটা মানা যায় না। দলের সীমাবদ্ধতার মধ্যেও নতুন করে বুদ্ধদেব বাবু শিল্পায়নের জন্য একটি অসীম চেষ্টা তৈরি করেছিলেন। তার সাহিত্য প্রেম অনারম্বর জীবনযাপন, সততা এবং রাজনৈতিক মতাদর্শ ছিল প্রশ্নাতীত।" ইতিমধ্যেই পাম এভিনিউয়ে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আবাসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা আসতে শুরু করেছেন।
  • Link to this news (আজকাল)