মমতা জানান, পূর্ব নির্ধানিত কর্মসূচি অনুযায়ী তাঁকে ঝাড়গ্রাম যেতে হবে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসের জন্য। এখানে ফিরহাদ, সিপি, ডিজিকে প্রয়োজনীয় সব নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছেন। ফিরহাদ হাকিম ও অরূপ বিশ্বাস সারাক্ষণ থাকবে। তিনি বলেন, "রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে। গান স্যালুট দেওয়া হবে বুদ্ধবাবুকে। বিধানসভায় দেহ নিয়ে যেতে বলেছি।" বিধানসভায় বুদ্ধবাবুর নশ্বর দেহ নিয়ে আসার জন্য বুদ্ধ-জায়া মীরা ভট্টাচার্যকে ফোন করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও। পাশাপাশি সবার শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য নন্দনেও দেহ শায়িত রাখার কথা বলেন মমতা। বুদ্ধবাবুর প্রয়াণে এদিন রাজ্যে পূর্ণ দিবস ছুটি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, "এই খবরটা শুনে আমি এতটাই টেনসড হয়ে গিয়েছিলাম যে হাতটা পুরো ঘষে গিয়ে গল গল করে রক্ত বেরিয়েছে। কীরকম একটা লাগছিল!" বলেন, সিঙ্গুর আন্দোলনের পর একবার তিনি, বুদ্ধবাবু ও গোপালকৃষ্ণ গান্ধী বসে কথা বলছিলেন। একটা সুন্দর আলোচনার পরিবেশ ছিল। সেইসময় গোপালকৃষ্ণ গান্ধী তাঁদের কাছে জানতে চান 'ভরা থাক' গানের অন্তরাটা কী? তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় উত্তর দেন, 'যে পথে যেতে হবে, সে পথে তিনি একা।' রাজনৈতিকভাবে মতাদর্শগত বিরোধ, ভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও অতীত দিনের সেই স্মৃতি স্মরণ করে আজ স্মৃতিমেদুর মমতা।
মমতা জানান, আজ রাতে পিস ওয়ার্ল্ডে শায়িত থাকবে বুদ্ধবাবুর মরদেহ। এরপর কাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো যাবে। বুদ্ধবাবুর ইচ্ছে ছিল, চক্ষুদান, দেহদানের। ইতিমধ্যেই চক্ষুদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আগামিকার বিকেল ৪টে নাগাদ একটি মিছিল করে আলিমুদ্দিন থেকে এনআরএস হাসপাতালে আনা হবে বুদ্ধবাবুর নশ্বর দেহ। তারপর সেখানেই তাঁর শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী দেহ দান করা হবে।