• অগস্টে অদ্ভুত সমাপতন! সুভাষ-শ্যামলের পর একই মাসে প্রয়াত বুদ্ধদেব
    এই সময় | ০৮ আগস্ট ২০২৪
  • সুভাষ চক্রবর্তী, শ্যামল চক্রবর্তী, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। প্রয়াণ দিবস যথাক্রমে ২০০৯ সালের ৩ অগস্ট, ২০২০ সালের ৬ অগস্ট এবং ২০২৪ সালের ৮ অগস্ট। অদ্ভুত সমাপতন। কয়েক বছরের ব্যবধানে অগস্টেই জীবনাবসান বাম মহীরুহদের। ধর্ম, ঈশ্বরের মতো নিয়তিতেও বিশ্বাস নেই লালপার্টির। অন্তত সে কথা বলে আসছেন ‘কমরেড’-রা। তারা এক বাক্যে মানছেন, বিষয়টি নিছকই কাকতালীয়।তারিখের হিসেবে তিন বাম নেতার মধ্যে প্রথমে প্রয়াণ হয় (৩ অগস্ট) সুভাষ চক্রবর্তীর। তারপর শ্যামল চক্রবর্তী (৬ অগস্ট) এবং বৃহস্পতিবার, ৮ অগস্ট জীবনাবসান বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের।

    সুভাষ চক্রবর্তী৬৮ বছর বয়সে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াত হন CPIM নেতা সুভাষ চক্রবর্তী। ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। কিডনিজনিত অসুখেও ভুগছিলেন। জননেতা হিসেবে পরিচিত সুভাষ সামলেছিলেন ক্রীড়া এবং পরিবহণ দপ্তরের দায়িত্ব। ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন তিনি। মিষ্টভাষী সুভাষ তারাপীঠে পুজো দিয়ে এসে বলেছিলেন, ‘আমি প্রথমে হিন্দু, তারপর ব্রাহ্মণ, তারপরে পার্টির কর্মীর। যা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। জ্যোতি বসু পর্যন্ত বলতে বাধ্য হয়েছিলেন সুভাষের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে।

    শ্যামল চক্রবর্তীকোভিডে আক্রান্ত হন রাজ্যের প্রাক্তন এই মন্ত্রী। ছিল নিউমোনিয়াও। কিডনির সমস্যার জন্য ডায়লিসিস চলছিল। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনেও দেওয়া হয়। চিকিৎসকদের শতচেষ্টা সত্ত্বেও শেষরক্ষা হয়নি। CITU-র সর্বভারতীয় ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য এবং পশ্চিমবঙ্গ কমিটির প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন তিনি। পরিবহণ দফতরের দায়িত্বও সামলেছেন। রাজ্যের বামপন্থী আন্দোলনের অন্যতম মুখ মনে করা হতো তাঁকে।

    বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যদুই বাম নেতার মতো বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যেরও প্রয়াণ হলো সেই অগস্ট মাসেই। দীর্ঘদিনের শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল তাঁর। একাধিকবার হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয় তাঁকে। হয়েছিলেন করোনাজয়ীও। তবে বারবারই রোগকে হারিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে যেতেন তিনি। তবে এবার আর তেমনটা হলো না। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। জ্বরে ভুগছিলেন তিনদিন ধরে। রাত থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তা সত্ত্বেও সকালে উঠে চা বিস্কুট এবং প্রাতঃরাশ করেন। কিন্তু, শেষমেশ আর শরীর সায় দিল না তাঁর। বাড়িতেই জীবনাবসান হয় বাম জমানার শেষ মুখ্যমন্ত্রীর।
  • Link to this news (এই সময়)