পুলিশের বিশেষ উদ্যোগ, ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়ে ফেলুন খুব সহজে
এই সময় | ০৮ আগস্ট ২০২৪
প্রাত্যহিক জীবনে বা বিভিন্ন কাজে দুচাকার যান কিংবা চারচাকার যানের প্রয়োজনীয়তা থাকে। কর্মস্থল, দোকানবাজার, বা অন্যান্য স্থানে যাতায়াত, এমনকী ভ্রমণের কাজেও খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ধরনের যানবাহনের প্রয়োজন হয়। তবে সেক্ষেত্রে দুচাকার যান হোক বা চারচাকা, প্রয়োজন হয় ড্রাইভিং লাইসেন্স। কারণ বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালান আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই শুধু নিজস্ব যানবাহন থাকলেই হয় না, প্রয়োজন পড়ে ড্রাইভিং লাইসেন্সেরও। এবার বিষয় হচ্ছে, কোথায়, কীভাবে, কোন উপায়ে এই ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যাবে? শুধু তাই নয়, এই লাইসেন্স পাওয়ার জন্য কোথায় ড্রাইভিংয়ের পরীক্ষা দিতে হবে, বা সেটি হাতে পেতে কত খরচ হবে, এই সব নিয়েও মানুষের মনে বিস্তর প্রশ্ন। এবার তাই মানুষের সুবিধার্থেই বিশেষ উদ্যোগ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের।ড্রাইভিং লাইসেন্স করাতে গিয়ে বিভিন্ন সময় আরটিও দপ্তরে হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ ওঠে। যার জেরে বহু ক্ষেত্রেই লাইসেন্স তৈরির প্রতি আগ্রহ হারান বাইক চালক থেকে শুরু করে গাড়ির চালকরা। এবার তাই আমজনতার কথা মাথায় রেখে বিশেষ উদ্যোগ পুলিশের। ড্রাইভিং লাইসেন্স মেলার মধ্যে দিয়ে জনসংযোগের উদ্যোগ নিল পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে মেদিনীপুর পুলিশ লাইনে বিশেষ এই শিবিরের উদ্বোধন করেন জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। পরিবহণ দপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ লাইনেই সাধারণ মানুষের জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
একদিকে জনসংযোগ, অন্যদিকে বিশ্ব আদিবাসী দিবসকে মাথায় রেখেই বিশেষ এই উদ্যোগ বলে জানান জেলার পুলিশ সুপার। পুলিশ লাইনে আগামী কয়েকদিন ধরে চলবে এই লাইসেন্স মেলা। প্রথম দিনে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানা, গুড়গুড়িপাল থানা, খড়গপুর লোকাল থানা ও খড়গপুর টাউন থানার বাসিন্দারা এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। যাঁদের এতদিন কোনও লাইসেন্স ছিল না, তাঁদের লার্নার লাইসেন্স এনরোলমেন্টের ব্যবস্থা করা হচ্ছে এই শিবিরে। পুলিশের এই উদ্যোগের ফলে লাইসেন্স বিহীন চালকদের মধ্যে লাইসেন্স করার প্রবণতা বাড়বে বলেই মনে করছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
এদিন সকাল থেকেই ক্যাম্পে অংশ নেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত। আগামী ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত মেদিনীপুর পুলিশ লাইনে এই শিবির চলবে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার। আর পুলিশের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছে জেলার সাধারণ মানুষও।