• সেদিন 'গায়ত্রী মন্ত্র পাঠ করেছিলেন বুদ্ধবাবু', পুরনো স্মৃতিচারণ রামকৃষ্ণ আশ্রমের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৮ আগস্ট ২০২৪
  • বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন নিমপীঠ রামকৃষ্ণ আশ্রমের স্বামী অমৃতানন্দ। তাঁদের আশ্রমে এসে বুদ্ধবাবু কী করেছিলেন, তাও জানালেন। তিনি বলেন, ‘একবার সুন্দরবনের এই প্রান্তে যখন এসেছিলেন, শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম নিমপীঠে তাঁকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। একটি ব্যতিক্রমী ঘটনার আমরা সাক্ষী হয়েছিলাম। তিনি যখন মন্দিরে প্রবেশ করেছিলেন, তখন ঠাকুর, মা, স্বামীজিকে স্মরণ করেছিলেন এবং গায়ত্রী মন্ত্র পাঠ করেছিলেন। উনি তো একটু ভাবধারার । তাই সেই ঘটনা দেখে আমরা একটু অবাক হয়েছিলাম। আনন্দও পেয়েছিলাম।’

    স্বামী অমৃতানন্দ জানান, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির নিমপীঠ রামকৃষ্ণ আশ্রমের সঙ্গে বুদ্ধবাবুর গভীর যোগাযোগ ছিল। সুন্দরবন এলাকার কোনও প্রয়োজন নিয়ে যখনই বুদ্ধবাবুর কাছে যাওয়া হত, তখনই উনি সাহায্য করতেন। স্বামী অমৃতানন্দের কথায়, ‘উনি বিশেষ খেয়াল রাখতেন। ওঁনার সঙ্গে আশ্রমের বিশেষ যোগাযোগ ছিল।’ 

    ২০০৩ সালে একদিনের দক্ষিণ ২৪ পরগনার সফরে গিয়ে ব্যস্ত সূচির মধ্যে থেকে সময় বের করে নিমপীঠ রামকৃষ্ণ আশ্রমে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন সন্তান সুচেতন । জুতো খুলে সন্তানের সঙ্গে পরমহংসদেবের মূর্তির কাছে গিয়েছিলেন বুদ্ধবাবু। ওই দৃশ্য দেখে সেইসময় অনেকে বলেছিলেন যে পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্ট মুখ্যমন্ত্রী কিছুক্ষণের জন্য পুরোহিত কৃষ্ণচন্দ্র ভট্টাচার্যের নাতি হয়ে গিয়েছেন।

    তারপর কমিউমিস্ট সত্ত্বা এবং ধর্ম নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে বুদ্ধদেববাবু বলেছিলেন, 'আমি কমিউনিস্ট হতে পারি। কিন্তু আমি এটা ভুলতে পারি না যে আমার দাদু কৃষ্ণচন্দ্র ধর্মীয় লেখা লিখেছিলেন এবং তিনি একজন পুরোহিত ছিলেন।' সেইসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, 'আমি মানবিকতার ধর্মে বিশ্বাস করি।'

    বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা ২০ মিনিট নাগাদ শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। আজ তাঁর মরদেহ পিস ওয়ার্ল্ডে রাখা হচ্ছে। তারপর শুক্রবার বুদ্ধবাবুর শেষযাত্রা হবে। শেষযাত্রায় বুদ্ধবাবুর মরদেহ কোথায় কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে, তা দেখে নিন -

    ১) পিস ওয়ার্ল্ড থেকে বিধানসভার উদ্দেশে রওনা: সকাল ১০ টা ৩০ মিনিট।

    ২) বিধানসভা ভবন: সকাল ১১ টা থেকে সকাল ১১ টা ৩০ মিনিট।

    ৩) মুজফ্ফর আহমেদ ভবন: বেলা ১২ টা থেকে দুপুর ৩ টে ১৫ মিনিট।

    ৪) দীনেশ মজুমদার ভবন ৩.৩০-৩.৪৫ মিনিট।

    ৫) দীনেশ মজুমদার ভবন থেকে দেহদানের জন্য রওনা: দুপুর ৩ টে ৪৫ মিনিট।

    ৬) নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে দেহদান - বিকাল ৪ টে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)