• বাড়ি থেকে শেষবারের মতো বেরোলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, দেহ পৌঁছল পিস ওয়ার্ল্ডে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৮ আগস্ট ২০২৪
  • শেষবারের মতো ৫৯ নম্বর পাম অ্যাভিনিউর ফ্ল্যাট থেকে গৃহকর্তা। নিজের সব থেকে পছন্দের গৃহকোণ ছেড়ে চিরতরে চলে গেলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সংরক্ষণের পিস ওয়ার্ল্ডে নিয়ে যাওয়া হল তাঁর দেহ। লাল পতাকায় ঢাকা বুদ্ধবাবুর দেহ ঘিরে সহযোদ্ধারা তুললেন, ‘অমর রহে’ স্লোগান।

    স্মরণে বুদ্ধদেব - ‘‌আমরা এক ছিলাম এক থাকব’‌, উত্তরবঙ্গ বিভাজন নিয়ে সরব হয়েছিলেন বুদ্ধবাবু

    স্মরণে বুদ্ধদেব - জঙ্গি আন্দোলন করে সরিয়েছিলেন মসনদ থেকে, বুদ্ধদেবের প্রয়াণে কী লিখলেন সেই মমতা?

    বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে পাম অ্যাভিনিউতে নিজের বাড়িতেই প্রয়াত হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এবার আর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় দেননি তিনি। মৃত্যুর খবর পেয়ে একে একে তাঁর বাড়িতে পৌঁছন সিপিএম নেতারা। পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

    বেলা বাড়লে সিপিএমের তরফে জানানো হয় বৃহস্পতিবার দেহ পিস ওয়ার্ল্ডে সংরক্ষণ করা হবে। শুক্রবার শেষ শ্রদ্ধা জানানো যাবে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে।

    বেলা ২টো নাগাদ ৫৯ নম্বর পাম অ্যাভিনিউর সরু দরজা দিয়ে বুদ্ধবাবুর দেহ বার করে আনেন বাম যুব নেতারা। গলায় লাল – সাদা মালা, বুকের ওপর রক্তপতাকা।

    সামনে দাঁড়িয়ে থাকা শববাহী শকটে তোলা হয় দেহ। এর পর ওঠে লাল সেলাম ও অমর রহে স্লোগান। বুদ্ধবাবুর দেহ নিয়ে মিছিল করে পিস ওয়ার্ল্ডে পৌঁছন দলের নেতা - কর্মীরা। এর পর পিস ওয়ার্ল্ডে রাখা হয় দেহ। গোটা রাস্তায় বুদ্ধবাবুর সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। রাস্তার ২ পাশে দাঁড়িয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে শেষ শ্রদ্ধা জানান অসংখ্য সাধারণ মানুষ।

    স্মরণে বুদ্ধদেব - ‘‌বাংলার মানুষকে একদিন সিদ্ধান্ত নিতেই হবে....‌’‌, অভিমান রয়েই গেল বুদ্ধবাবুর

    সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক সেলিম জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে পিস ওয়ার্ল্ড থেকে দেহ আনা হবে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দলের রাজ্য দফতরে। সেখানে দেহ থাকবে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের অফিসে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন দলের কর্মী ও অনুরাগীরা। থেকে আরও কয়েকটি জায়গায় দেহ নিয়ে যাওয়া নিয়ে কথা চলছে। বিকেলে দেহ দান করা হবে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)