• বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দেহদান হবে কলকাতার হাসপাতালে, চক্ষুদান পর্ব শেষ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৮ আগস্ট ২০২৪
  • প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ৮০ বছর বয়সে প্রয়াত বাম জমানার শেষ মুখ্য়মন্ত্রী। তবে চিকিৎসা শাস্ত্রের গবেষণার জন্য তিনি দেহদানের অঙ্গীকার করেছিলেন আগেই। সেই মতো চিকিৎসকরা এসেছেন। তাঁর চক্ষুদানের প্রক্রিয়াও শেষ হয়েছে বলে খবর। শুক্রবার এনআরএসের দেহ দান করা হবে। 

    পাম অ্যাভিনিউয়ের ছোট্ট ফ্ল্যাট থেকে বের করা হল প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রীর দেহ। চারদিকে ধ্বনি লাল সেলাম, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। কমরেড আজ শেষ যাত্রায়। পিস ওয়ার্ল্ডে থাকবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দেহ। 

    জননেতার শেষ ইচ্ছাকে স্বীকৃতি দিলেন বাম নেতৃত্ব। তাঁর দেহদান করা হবে। তাঁর চক্ষুদান করা হয়েছে। শুক্রবার এনআরএস অথবা প্রয়োজনে এসএসকেএমকে তাঁর দেহ দান করা হবে।

    শববাহী শকটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাঁর দেহকে। বিধানসভায় নিয়ে যাওয়া হবে দেহ। মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি। সেই মতো চিকিৎসকরা তাঁর কর্নিয়া নিয়ে রওনা দিয়েছেন। তাঁর দেহ দান করা হবে। সেই দেহ নিয়ে গবেষণা করবেন চিকিৎসা শাস্ত্রের ছাত্রছাত্রীরা। 

    বাংলার উন্নতির জন্য বরাবরের জন্য় চেষ্টা করে গিয়েছেন তিনি। তবে শেষ জীবনে অসুস্থ ছিলেন তিনি। তবু বাংলার রাজনীতির খোঁজ রাখতেন তিনি। জীবনের শেষেও তাঁর দেহ কাজে লাগবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাজে। নজির তৈরি করলেন বুদ্ধদেব। বাংলা হারাল এক নিপাট ভদ্রমানুষ, এক সৎ রাজনীতিবিদকে। 

    বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলা। 

    কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ‘একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসাবে সৎ, নিষ্ঠাবান ও আদর্শের প্রতি অবিচল ছিলেন। কখনও আপোস করেননি এই জায়গাটায়। মুখ্যমন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার পরেও তাঁর সাধারণ যে জীবনযাত্রা সেটা আজকের রাজনীতিবিদদের কাছে শিক্ষণীয়। দুর্নীতি আর রাজনীতি যখন একে অপরের পরিপূরক হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে মানুষের মনে তখন বুদ্ধবাবুর ব্যক্তিগত জীবন আগামী প্রজন্মের রাজনীতিকরা অনুপ্রাণিত হতে পারে। শিক্ষিত, রুচিশীল মানুষ ছিলেন। তাঁর প্রয়াণে আমি সত্যিই ব্যথিত।’

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এই দুঃখের সংবাদে আমরা অত্যন্ত মর্মাহত। তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারকে আমার তরফ থেকে আমাদের দলের তরফ থেকে সমবেদনা জানাই। মাননীয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ ছিলেন। মতাদর্শগতভাবে ভিন্ন মেরুর লোক হলেও ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে আমি অত্যন্ত সম্মান করতাম। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি তাঁর আত্মার সদ্গতি হোক। এই কষ্টের সময় তাঁর পরিবারকে ঈশ্বর যেন শক্তি প্রদান করেন।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)