• ‘‌ভুল পদ্ধতির এক ট্র্যাজিক নায়ক’‌, বুদ্ধবাবুর জীবনাবসানে ফেসবুক পোস্ট কুণালের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৮ আগস্ট ২০২৪
  • বামফ্রন্ট সরকারের শেষ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জীবনাবসান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। ২০০০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ১১ বছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজনৈতিক মহলে। তবে আজ এই ঘটনার মধ্যে দিয়েও তিনি চর্চায় থেকে গেলেন রাজ্য–রাজনীতিতে। তাঁর স্মৃতিচারণা করেছেন একাধিক রাজনীতিক। সিপিএমের নেতারা তো বটেই, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপির নেতারাও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। আর এখানেই একটু ব্যতিক্রমী হলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ।

    বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য একজন প্রকৃত ভারতীয় কমিউনিস্ট যিনি মনে করেছিলেন যে, সমাজতন্ত্র যে মাটিতে এসেছে সবসময় সেই দেশের মতো করেই সমাজতন্ত্র আসবে এমনটা নয়। আমাদের দেশে সমাজতন্ত্র আসলে সেটা আসবে আমাদের দেশের মতো করে। তবে বুদ্ধবাবুর প্রয়াণে ফেসবুক পোস্ট করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। সেখানেই তিনি প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘‌প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য প্রয়াত। রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকলেও সাংবাদিক হিসাবে তাঁর যে স্নেহ, সহযোগিতা পেয়েছি, তা ভরা থাকবে স্মৃতিসুধায়। সঠিক ভাবনা, ভুল পদ্ধতির এক ট্র্যাজিক নায়ক হিসাবে ইতিহাসের পাতায় থাকবেন তিনি। প্রণাম তাঁকে।’‌ এটা লেখার পরই চুপচাপ নেটপাড়া।

    বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে বাংলার রাজ্যপাল থাকাকালীন জগদীপ ধনখড় দেখতে যান পাম অ্যাভিনিউর বাড়িতে। সেখান থেকে বেড়িয়ে এসে বলেছিলেন, ‘‌সত্যিকারের কমিউনিস্ট কেমন হয় তা আজ দেখলাম।‌ অনেকেই নিজেকে কমিউনিস্ট বলে গর্ব অনুভব করেন কিন্তু বুদ্ধবাবুর মতো কমিউনিস্ট সকলে হয় না।’‌ দীর্ঘদিন শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন বুদ্ধবাবু। রেখে গেলেন স্ত্রী ও এক সন্তানকে। বুধবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। আর বৃহস্পতিবার সকালে আসে মৃত্যুসংবাদ। দীর্ঘ পাঁচ দশকের রাজনৈতিক জীবন তাঁর। প্রথমে কাশীপুর–বেলগাছিয়া কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন তিনি। এরপর ১৯৮৭ সালে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হন। ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা এই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।

    কৃষি থেকে শিল্প সবক্ষেত্রেই বিপ্লব আনতে চেয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর হাত ধরেই টাটা গোষ্ঠী বাংলায় আসে। সিঙ্গুরে ন্যানো গাড়ির কারখানা করতে চেয়ে জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়। যার বিরোধিতা করে আন্দোলনে নামেন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই তুমুল আন্দোলনের জেরে পিছু হঠতে হয় বামফ্রন্ট সরকারকে। ওই জমি অধিগ্রহণ যে ভুল পদ্ধতিতে ছিল সেটা জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আজ, বৃহস্পতিবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য প্রয়াত হওয়ার পর তাই সেই ভুলের কথা উসকে দিলেন কুণাল ঘোষ।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)