হাসিনার পর বাংলাদেশে 'ক্ষমতাশালী' ইউনূস বর্ধমানের জামাই!
এই সময় | ০৯ আগস্ট ২০২৪
পদ্মাপারে টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ইতিমধ্যেই ওপার বাংলায় ফিরেছেন তিনি। এই ইউনূসের জন্য খুশি বর্ধমান। কারণ তিনি নাকি ভারতের এই শহরের জামাই। নিজেকে ইউনূসের শ্যালক দাবি করা বর্ধমানের আসফাক ওরফে বাবু মিঞা ইতিমধ্যেই ভারতীয়দের জন্য 'স্পট ভিসা' দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জামাইবাবুর কাছে।শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে এ দিন দায়িত্ব গ্রহণ করতে চলেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর আত্মীয়ের খোঁজ মিলল পূর্ব বর্ধমানে! ‘জামাইবাবু’ বাংলাদেশের দায়িত্ব নিতে চলেছেন, এই কথা জানার পর থেকেই আনন্দে ভাসছে বর্ধমানের বাসিন্দা আসফাক হোসেনের পরিবার।
জন্মসূত্রে বর্ধমানে থাকেন আসফাক। ডাকনাম বাবু মিঞা। বর্ধমান শহরের রানিগঞ্জ বাজারের কাছে লস্করদিঘি এলাকায় তাঁর বাড়ি। নিজেকে ইউনূসের শ্যালক বলে দাবি করেছেন আসফাক।
তিনি বলেন, 'জামাইবাবু দায়িত্ব নিচ্ছেন শুনে আমরা খুবই আনন্দিত। আমাদের আবেদন, ভারতের সঙ্গে আরও মধুর সম্পর্ক গড়ে তুলুন। সকলে মিলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যান।' আসফাকের দাবি, দুই পরিবারের মধ্যে নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। প্রায়ই বাংলাদেশে যান তাঁরা। বৃহস্পতিবার ইউনূসের শপথ নেওয়ার আগে আসফাক বলেন, 'ভাগ্নেই আমার হার্টের চিকিৎসা করেছিল। স্টেন্ট বসিয়ে দিয়েছিল। আরও কিছু সমস্যা যখন দেখা গিয়েছিল তখন ও চিকিৎসা করে। ওদের ওখানে না গেলে দিদি রাগ করে। আমারও মন কাঁদে।'
ইউনূসের কাছে কয়েকটি আবেদনও জানিয়েছেন আসফাক। তিনি বলেন, 'ভারতীয়দের জন্য বাংলাদেশে স্পট ভিসার ব্যবস্থা করা হোক। এখন ভিসার জন্য ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লেগে যায়। অন্য দেশ অবশ্য দিয়ে দেয়। এই দেশের প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশে যাওয়ার বিষয়টি যাতে সহজ করা যায়,সেই জন্য আর্জি জানাচ্ছি।' ইউনূস ক্ষমতায় থাকাকালীন ভারত এবং বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও উন্নত হবে বলে দাবি করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, মুহাম্মদ ইউনূস 'গ্রামীণ ব্যাঙ্ক'-এর প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর সঙ্গে শেখ হাসিনার সম্পর্কের বিস্তর অবনতি হয়। তাঁকে 'গরিবের রক্তচোষা' বলে আক্রমণ করেছিলেন হাসিনা। তাঁর ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে কী বদল আসে, এখন সেই দিকে সব নজর।