• নেই সেই চায়ের দোকান, স্মৃতি সামলে রয়ে গেছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য'র বসার জায়গাটা ...
    আজকাল | ০৯ আগস্ট ২০২৪
  • তীর্থঙ্কর দাস: বয়স হয়েছিল ৮০। বৃহস্পতিবার সকালে ৮:২০ নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে এবং পরে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জীবনের বেশ কিছুটা সময় কেটেছে উত্তর কলকাতায়। উত্তর কলকাতার জগত মুখার্জি পার্কের পাশে চায়ের দোকানে তার সহপাঠী এবং পাড়া প্রতিবেশীদের সঙ্গে 'আড্ডা' দিতেন। যদিও বা সেই চায়ের দোকান এখন আর নেই। রয়ে গেছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বসার সেই জায়গা। কেমন ছিল সেই দিনগুলো?

    আজকাল ডট ইনের সামনে বাসব মুখার্জি স্মৃতিচারণ করলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে তাঁর পরিবারের কাটানো সময়ের কথা।

    তাঁর কথায়, 'খাদ্য আন্দোলনের সময় যখন লাঠিচার্জ হয় সেই সময় আহত হয়েছিলেন অনেকেই। সেখানে ছিলেন আমার মা। ১৯৭৭ সালে ৯ নম্বর বাসে করে যাতায়াত ছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর। আমার মা এই বাড়ির সামনে উনুন ধরাতেন এবং সেই উনুনের ধোঁয়া দেখতে পেলেই নেমে আসতেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন তিনি‌। আজ তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেও মন থেকে কোনদিনই তাঁকে মুছে ফেলা যাবে না।'

    আরেক প্রতিবেশী বুদ্ধদেব বক্সি আজকাল ডট ইনকে জানালেন, ছোটবেলায় তিনি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখেছেন আড্ডা দিতে। তাঁর কথায়,'আমার মামার সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ভয়ে সামনে আসতে পারতাম না। কিন্তু দূর থেকে দেখতাম। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কাকা রাখাল ভট্টাচার্য্য আমাকে আলাপ করিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে। আলাপের পর জিজ্ঞেস করেছিলেন, কী নিয়ে পড়াশোনা করছি বা ভবিষ্যতে কি পরিকল্পনা? প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শের কথা মনে করে তিনি বলেন, ' বুদ্ধদেববাবু সবসময় সৎ পথে থেকে কাজ করে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে আসতেন।'

    জগত মুখার্জি পার্কের ঠিক পেছন দিকেই বসবাস করেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সহপাঠী তাপস দত্ত। তিনি জানালেন, 'ছোটবেলায় খুব ভালো ক্রিকেট খেলতেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। মানুষ হিসেবে সব সময় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করতেন তিনি।" তিনি বলেন, 'উত্তর কলকাতার যে জায়গাগুলি বুদ্ধবাবুর আড্ডা দেওয়ার জায়গা ছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল এই জগত মুখার্জি পার্কের পাশের চায়ের দোকান। রাজনীতিতে আসা থেকে শুরু করে তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সবটাই নিজের চোখে দেখেছি। এভাবে চলে যাওয়াটা মানা যায় না। কিন্তু সবাইকে তো একদিন না একদিন যেতেই হবে।"
  • Link to this news (আজকাল)