• সিওপিডিতে ভুগছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, কেমন ছিল তাঁর ফুসফুসের অবস্থা? জানালেন এই বিশিষ্ট চিকিৎসক ...
    আজকাল | ০৯ আগস্ট ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফুসফুসের রোগে দীর্ঘদিন ধরে আক্রান্ত ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। চিকিৎসকদের ভাষায় যাকে বলে ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ বা সিওপিডি। এর আগে তিনি যখন শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তখন তাঁকে পরীক্ষা করতে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিশিষ্ট ফুসফুস রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ধীমান গাঙ্গুলি। 

    বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, 'প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা আমি একবার পরীক্ষা করেছিলাম। পরীক্ষা করে আমার মনে হয়েছিল খুব অল্প বয়স থেকেই ওঁর ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। যেটাই পরে বড় হয়ে দেখা দেয়। দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেইসময় পরীক্ষার পর আমার মনে হয়েছে তিনি হয়ত একঘর থেকে অন্য ঘরে যাতায়াত করতেও পারতেন না। প্রায় গোটা ফুসফুসই খারাপ হয়ে গিয়ে হয়ত ২০ কি ৩০ ভাগ কাজ করছিল। ফলে ওঁর পক্ষে স্বাভাবিক জীবন যাপন এমনকী ঘরের ভেতরেও হাঁটা চলা করতে সমস্যা হত বলেই আমার মনে হয়।' 

    সিওপিডি'র অসুস্থতার থেকে ভুগছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। কী এই রোগ? ব্যাখ্যায় বিশিষ্ট এই চিকিৎসক বলেন, 'আমাদের ফুসফুসটা তৈরি হয়েছে কয়েক লক্ষ বেলুনের মতো জিনিস দিয়ে। এই বেলুনের গা দিয়ে গিয়েছে রক্তবাহী নালী। এর মাধ্যমে অক্সিজেন বেলুনের মধ্যে যায় বা আমাদের শরীরে অক্সিজেন গ্রহন এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড বেরিয়ে যাওয়ার কাজ হয়। সিওপিডি রোগীদের ক্ষেত্রে বেলুনের এই দেওয়ালগুলো নষ্ট হতে থাকে।' 

    তাঁর কথায়, 'বেলুনের দেওয়াল নষ্ট হয়ে যাওয়া মানে সেখান দিয়ে অক্সিজেন এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড আসতে বা বেরতে পারে না। এর ফলে যেটা হয় সেটা হল যেখানে হয়ত ২০০টা বেলুন থাকার কথা সেখানে সেগুলো জুড়ে গিয়ে একটা বলের মতো হয়ে গেল। যার জন্য অক্সিজেন ঢোকা বা কার্বন-ডাই-অক্সাইড বেরিয়ে যাওয়ার জায়গাটা কমে যায়।' 

    ডা.ধীমান গাঙ্গুলি জানান, 'একজন সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে এই জায়গা বা 'সারফেস'টা হচ্ছে একটা টেনিস কোর্টের আধখানা। সেটার যদি মাত্র ২০ শতাংশ অবশিষ্ট থাকে তবে শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ঢুকতে এবং সেখান থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বেরতে পারবে না। যার জন্য শরীরে তৈরি হবে নানা সমস্যা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য'র ক্ষেত্রে এটা হয়েছিল।'
  • Link to this news (আজকাল)