• ঐতিহ্য মেনে সাড়ম্বরে হলকর্ষণ উৎসব পালিত বিশ্বভারতীতে
    বর্তমান | ০৯ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বোলপুর: বিশ্বভারতীর রীতি ও ঐতিহ্য মেনে যথাযথ মর্যাদায় বৃহস্পতিবার হলকর্ষণ উৎসব করল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অরবিন্দ মণ্ডল। প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন বিশিষ্ট পরিবেশবিদ জয় মিত্র। অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন শিক্ষাসত্রের পড়ুয়ারা। সঙ্গীতের দায়িত্বে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পল্লি সংগঠন বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা। অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ হাল চালনা। তাতে অংশগ্রহণ করেন উপাচার্য ও প্রধান অতিথি। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে ছাত্রছাত্রী সহ স্থানীয়দের বৃক্ষরোপণের উৎসাহ দিতে চারাগাছ বিলি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।প্রসঙ্গত, ১৯২২ সালে শ্রীনিকেতন গঠন করেন গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কৃষি, দেশের অর্থনীতির মূল চাবিকাঠি। তাই কৃষিতে উন্নতির লক্ষ্যে জ্যেষ্ঠ পুত্র রথীন্দ্রনাথকে কৃষিবিজ্ঞান পড়ার জন্য আমেরিকায় পাঠিয়েছিলেন। এরপর সন্তোষচন্দ্র মজুমদার, লিওনার্ড এলমহার্স্ট সহ আরও অন্যান্যদের সঙ্গে নিয়ে গ্রাম ও পল্লি সংগঠনের কাজে মন দেন গুরুদেব। তাই কৃষকদের কৃষিকাজকে আরও উন্নততর করার প্রতীক হিসেবে হলকর্ষণ উৎসবের সূচনা করেন। তাঁর বার্তা ছিল ‘ফিরে চল মাটির টানে’ কারণ মাটিকে কর্ষণের মাধ্যমে উর্বর করা হলে আরও ফসল ফলবে। সেই লক্ষ্যে ১৯২৮ সালে ১৪ জুলাই প্রথমবার বৃক্ষরোপণ উৎসব করার পরদিন ১৫ জুলাই প্রথম শ্রীনিকেতনে অনুষ্ঠিত হয় হলকর্ষণ উৎসব। সে বছর গুরুদেব নিজে হাল চালনা করেন। তবে তাঁর মৃত্যুর পর ২২ ও ২৩ শ্রাবণ বৃক্ষরোপণ ও হলকর্ষণ উৎসবের দিন হিসেবে নির্দিষ্ট করে বিশ্বভারতী। সেই ধারাকে আজও ঐতিহ্যের সঙ্গে মেনে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফিরে চল মাটির টানে গানে সমবেত শোভাযাত্রার মধ্যে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর বৈদিক মন্ত্র পাঠ, সমবেত নৃত্য ও হালচালনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি হয়। সেই অনুষ্ঠান দেখতে বিশ্বভারতী ছাত্রছাত্রী সহ স্থানীয় সুডুল ও শ্রীনিকেতন এলাকার মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। • বিশ্বভারতীর হলকর্ষণ উৎসবের বিভিন্ন মুহূর্ত। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)