• বাংলাদেশ সীমান্তে সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখলেই খবর দিন, স্থানীয় বাসিন্দাদের বার্তা বিএসএফের
    বর্তমান | ০৯ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: অশান্ত বাংলাদেশ। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আগেই বিএসএফ জওয়ানদের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তের গ্রামবাসীদের সঙ্গে বিএসএফের চলছে সমন্বয় বৈঠকও। যাতে জওয়ানদের সঙ্গে গ্রামবাসীদের সম্পর্ক আরও মজবুত হয়। সেই সঙ্গে সীমান্তের কোনও খবরাখবরও মেলে। এই পরিস্থিতিতে বিএসএফের পক্ষ থেকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সীমান্ত গ্রামের বাসিন্দাদের জানানো হচ্ছে, সীমান্তে কোনও সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখলেই বিএসএফের কাছে অবিলম্বে রিপোর্ট করুন। তবে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিশেষ কোনও সন্দেহজনক কার্যকলাপের রিপোর্ট মেলেনি।

    উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একটি বড় অংশজুড়ে রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত। বনগাঁ ও বসিরহাট মহকুমার বনগাঁ, গাইঘাটা, বাগদা, স্বরূপনগর, বসিরহাট, টাকি, হাসনাবাদ, হিঙ্গলগঞ্জ সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় রয়েছে আন্তর্জাতিক সীমান্ত। এর মধ্যে স্থল ও জল সীমান্তও রয়েছে। এই জেলায় দু’টি আন্তর্জাতিক স্থলবন্দরও রয়েছে। বনগাঁর পেট্রাপোল এবং বসিরহাটের ঘোজাডাঙা। পণ্য পরিবহণের সঙ্গে প্রতিদিন শতশত মানুষ স্থলপথে এই সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত করেন। বাংলাদেশে অশান্তির জেরে এই সীমান্তেও আঁচ পড়েছিল। সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত পেট্রাপোলে তিনদিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার থেকে তা শুরু হয়েছে। সোমবার থেকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সহ গোটা রাজ্যের সীমান্তে বিএসএফ জওয়ানদের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পেট্রাপোলে চলছে আরও কড়া নজরদারি।

    মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের সীমান্তে গ্রামের বাসিন্দাদের নিয়ে সমন্বয় বৈঠক শুরু করেছে বিএসএফ। নদীয়া থেকে শুরু হয়েছিল। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনায় হয়। বৃহস্পতিবারও নদীয়ায় ওই বৈঠক হয়েছে। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্তে সমন্বয় বৈঠকেই গ্রামবাসীদের বলা হয়েছে, সীমান্তে সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখলে বিএসএফকে দ্রুত রিপোর্ট করুন। প্রতিটি সীমান্তেই জওয়ানরা ২৪ ঘণ্টা ডিউটিতে রয়েছেন। তাই সব সময় জওয়ানরা পাশে রয়েছেন। বিএসএফ জানিয়েছে, এই অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে বলে জওয়ানদের আরও বেশি করে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও অনুপ্রবেশ ঘটেনি। সীমান্তে কড়া নজরদারি চলছে।
  • Link to this news (বর্তমান)