• ৪৭ লক্ষ টাকায় নগরবন আলোয় সাজাচ্ছে 
    বর্তমান | ০৯ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, দুর্গাপুর: দুর্গাপুরের প্রাণ কেন্দ্র সিটি সেন্টারের ‘নগরবন’ এবার আলোয় সাজাচ্ছে দুর্গাপুর পুরসভা। সার্কিট হাউসের বিপরীতে গড়ে ওঠা ওই নগরবনে ইতিমধ্যেই পুরসভার পক্ষ থেকে ৪৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক বাতিস্তম্ভ বসানো হয়েছে। প্রায় শতাধিক এমন বাতিস্তম্ভ বসানো হয়েছে। শহরের সৌন্দর্যায়ন বৃদ্ধিতে ওই বাতিস্তম্ভগুলি দ্রুত চালু করা হবে বলে দাবি পুরসভার।

    দুর্গাপুর প্রশাসন ও বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ডিভিসি মোড় থেকে দুর্গাপুর শহরে ঢোকার প্রধান রাস্তা ক্ষুদিরাম সরণি। ওই রাস্তা ও জাতীয় সড়কের মধ্যস্থলে একটি বিশাল জায়গা দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল। ক্ষুদিরাম সরণির পাশেই গড়ে উঠেছে সার্কিট হাউস ‘সম্পন্ন’। তার পাশেই গড়ে উঠেছে মহকুমা শাসকের ভবন। গুরুত্বপূর্ণ ওই সরকারি দুই দপ্তরের বিপরীতের পরিত্যক্ত জমিটি আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের (এডিডিএ)। সেখানে অবৈধভাবে শূকরের খামার গড়ে তুলেছিল এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা। অপরিষ্কার ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ হয়েছিল সম্পূর্ণ এলাকাটি। শহরের প্রাণকেন্দ্রের প্রবেশ দ্বারটি ছিল এক সময়ে দৃষ্টিকটু। ২০২২ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সহায়তায় ‘নগরবন’ প্রকল্প শুরু করে আঞ্চলিক বনদপ্তর। সেই সময় এডিডিএ ওই জমিটি দেয় বনদপ্তরকে। সেই মত শূকরের খামার সরিয়ে নোংরা আবর্জনা ও ঝোপঝাড় পরিস্কার করে শুরু হয় ‘নগরবন’। ইতিমধ্যেই ‘নগরবন’ সৌন্দর্যায়নের কাজ শেষ হয়েছে। সেখানে নানান গাছপালা লাগানো হয়। প্রাতঃভ্রমণের জন্য রাস্তা নির্মাণ করা হয়। জলাশয় তৈরি করা হয়। বসার জায়গা করা হয়েছে। বাঁশ ও বেত দিয়ে নানান কারুকার্য করে সাজানো হয়েছে। শিশুদের জন্যেও উদ্যান গড়ে তোলা হয়েছে। যদিও সেখানে আলোর কোনও ব্যবস্থা ছিল না। পুরসভা উদ্যোগে ইতিমধ্যেই সেই কাজও সম্পূর্ণ হয়েছে। শহরের প্রবেশদ্বারের ওই রাস্তা আবার এডিডিএ’র পক্ষ থেকে মডেল সরণি করার উদ্যোগও নিয়েছেন। সমস্তটা সম্পূর্ণ হলে দুর্গাপুরবাসীকে আরও একটি সুন্দর পরিবেশ উপহার দিতে চলেছে এডিডিএ,পুরসভা ও বনদপ্তর সহ মহকুমা প্রশাসন।

    দুর্গাপুর বনদপ্তরের আধিকারিক অনুপম খান বলেন, নগরবনের প্রাথমিক কাজ অনেকদিন আগেই সম্পূর্ণ করা হয়েছে। আগাছা জন্মেছিল। সেইগুলিও পরিষ্কার করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। পুরসভা আলোর ব্যবস্থা করেছে। বনদপ্তরের আরও একটি বিভাগ রয়েছে। ওই বিভাগের মাধ্যমে  ‘নগরবন’ সর্বসাধারণের জন্য খোলা হবে আশা করি।

    পুরসভার পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্য তথা পুরসভার বিদ্যুৎ দপ্তরের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ ধর্মেন্দ্র যাদব বলেন, আমরা ওই ‘নগরবন’কে আলোয় সুসজ্জিত করতে উদ্যোগ নিয়েছিলাম। সেই মতো আধুনিক বাতিস্তম্ভ পার্কটির রাস্তার পাশে বসানো হয়েছে। প্রায় ৪৭ লক্ষ টাকা ব্যয় করে। প্রায় ১০০টি বাতিস্তম্ভ বসেছে। এবার কেবল সূচনার অপেক্ষা। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)