• গোডাউন বানিয়ে ডিস্ট্রিবিউটরের লাইসেন্স আর্জি, খাদ্যদপ্তর ‘চুপ’
    বর্তমান | ০৯ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, রামপুরহাট: পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের অধীনে ডিস্ট্রিবিউটর  লাইসেন্স দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি দেখে অনেকেই কোটি কোটি টাকা খরচ করে গোডাউন নির্মাণ করে আবেদন করেন। কিন্তু দু’বছর পেরিয়ে গেলেও এই নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য নেই খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের। স্বভাবতই ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা। মোটা অর্থ ফেঁসে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। জেলা দপ্তরও এই নিয়ে কোনও দিশা দেখাতে পারছেন না বলে অভিযোগ।

    ২০২২ সালের ২২ আগস্ট খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তর থেকে মুরারই ২ ব্লকে ডিস্ট্রিবিউটরের শূন্যতার বিজ্ঞপ্তি জারি করে। স্বনির্ভর গোষ্ঠী, সঙ্ঘ, মহাসঙ্ঘ, রেজিস্টার্ড পার্টনারশিপ ফার্ম, কো-অপারেটিভ সোসাইটি পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের অধীনে ডিস্ট্রিবিউটরের জন্য আবেদন জানাতে পারেন। তবে গোডাউন ছয় হাজার স্কোয়ার ফুট কংক্রিটের ও পিচ রাস্তার ধারে হতে হবে। যাতে কোনওভাবেই জল পড়ে খাদ্য সামগ্রী নষ্ট না হয়। 

    সেইমতো মুরারই ২ ব্লকের অনেক উদ্যোগী আবেদন করেন। তাঁরা কোটি কোটি টাকা খরচ করে গোডাউন নির্মাণ করেছেন। যেমন এলাকার আসগর আলি এই ব্লকের কনকপুর এলাকায় প্রধান রাস্তার পাশে কয়েক বিঘা জমি কিনে বারো হাজার স্কোয়ার ফুটের কংক্রিটের গোডাউন নির্মাণ করেন। বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে অফিস রুম, শ্রমিকদের থাকার ব্যবস্থা সহ সরকারের চাহিদা মতো সবই করে রেখেছেন। তিনি বলেন, ওই বছরের মধ্যে গোডাউন নির্মাণ কাজ শেষ করে জেলা খাদশস্য ও সরবরাহ দপ্তরকে জানানো হয়। একবার আধিকারিকরা স্পটে এসে গোডাউন ঘুরে দেখে তদন্ত করে যান। কিন্তু তার পর থেকে আর কোনও সাড়াশব্দ নেই। গোডাউন নির্মাণ, ইলেকট্রিক সংযোগ মিলিয়ে প্রায় আড়াই কোটি টাকা খরচ রয়েছে। বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১০ জন কর্মী রয়েছে। তাঁদের মাসিক বেতন দিতে হচ্ছে। এছাড়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী অ্যাকাউন্টে বড় অঙ্কের অর্থ সবসময় রাখতে বলা হয়েছিল। সেটাও রয়েছে। এত কিছু করার পরও দপ্তরের কোনও হেলদোল নেই। এত টাকা দিয়ে গোডাউন বানিয়ে বিপাকে পড়ে গিয়েছি। আর কিছুদিন অপেক্ষা করার পরই হাইকোর্টে যাব। একই বক্তব্য অন্যান্য উদ্যোগীদেরও।

    যদিও জেলা খাদ্য ও সরবরাহ আধিকারিক অমৃত ঘোষ বলেন, সেই সময় যাঁরা আবেদন করেছিলেন, সেক্ষেত্রে তাঁদের চিঠি দিয়ে ফিল্ড এনকোয়ারি করা হয়েছিল। সেই রিপোর্টও রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কে পাচ্ছেন, তা নিয়ে কোনও অনুমোদনের অর্ডার এখনও আসেনি। প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। 

    যদিও জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, বিষয়টি কী অবস্থায় রয়েছে, সেটা দেখে নিচ্ছি।  
  • Link to this news (বর্তমান)