• কালনায় মোবা‌ইল চুরির অপবাদে যুবককে বেধড়ক মারধর, আটক ৪
    বর্তমান | ০৯ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কালনা: মোবাইল চুরির অভিযোগ তুলে বুধবার রাতে কালনা শহরের কাঠিগঙ্গা মহিষমর্দিনী মাতার পুজোর মেলার মাঠে এক যুবককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল। ওই যুবককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তৃণমূলের কাউন্সিলার চন্দনা বিশ্বাস ও তাঁর স্বামী সৌমিত্র বিশ্বাস ওরফে লক্ষ্মণ সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে কালনা থানায় অভিযোগে দায়ের হয়েছে। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। স্থানীয় ও জখম যুবকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মেলার মাঠ থেকে কিছুটা দূরে বকুলতলা এলাকায় বাড়ি নিগৃহীত যুবক শ্যামল পাসোয়ানের। ওইদিন গভীর রাতে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তারপর মেলার মাঠে নাগরদোলার কাছে ঘুরছিলেন। অভিযোগ, সেইসময় মাঠে থাকা কয়েকজন তাঁকে মোবাইল চোর সন্দেহে দড়ি দিয়ে বেঁধে রড দিয়ে ব্যাপক মারধর করে। এমনকী বিদ্যুতের শক দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। সকাল ৬টা নাগাদ যুবকের মা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তাঁকেও বাঁশ দিয়ে মারধর ও গালিগালাজ করা হয়। এরপরই  জখম যুবককে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের লোকজন। মেলার নাগরদোলার মালিক কার্তিক ঘোষ বলেন, আমি আলাদা জায়গায় ঘুমিয়েছিলাম। ভোরে ঘটনার কথা জানতে পেরে ছুটে আসি। ওই যুবককে বেঁধে রাখা হয়েছিল। কর্মচারীরা জানায়, দিনতিনেক ধরে কর্মচারীদের তিনটি মোবাইল চুরি হয়েছে। এদিন ওই যুবক মোবাইল নিয়ে পালাতে গেলে কর্মচারীরা হাতেনাতে ধরে। রেগে গিয়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে মারধর করা হয়। তবে বিদ্যতের শক দেওয়া হয়নি। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তৃণমূলের চন্দনা বিশ্বাস বলেন, আমার ও স্বামীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি সকাল ৮টা নাগাদ ঘটনা জানতে পেরে ওখানে যাই। জখম যুবককে আমি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলি। মোবাইল চুরির সন্দেহে মারধর করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।

    জখম যুবকের মা শ্যামলী পাসোয়ান বলেন, আমার ছেলে কোনও মোবাইল চুরি করেনি। রাতে আমার সঙ্গে অশান্তি হওয়ায় ও মাঝরাতে নদীর ধারে যাচ্ছে বলে বেরিয়ে যায়। সকালে জানতে পারি মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে ছেলেকে কয়েকজন মিলে নাগরদোলার পোলে বেঁধে ব্যাপক মারধর করে। ইলেক্টিক শকও দেওয়া হয়। আমি গেলে আমাকেও মারধর করা হয়। ছেলেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করি। কালনা থানায় অভিযোগ করেছি। আমি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক অমরজ্যোতি কুণ্ডু বলেন, মেলার সঙ্গে পুজো কমিটির কোনও সম্পর্ক নেই। ওখানে কী ঘটেছে জানা নেই। 
  • Link to this news (বর্তমান)