• নদীর জলে ভেসে গিয়েছে রাস্তা, অস্থায়ী সাঁকোয় ১২ গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াত
    বর্তমান | ০৯ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, হবিবপুর: বাঁশের অস্থায়ী সাঁকো দিয়ে চলাচল করছেন ১২টি গ্রামের বাসিন্দা। নদীর জলে রাস্তা ভেসে যাওয়ায় এখন চরম সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। বড় গাড়ি, টোটো, অ্যাম্বুলেন্স কিছুই ঢুকতে পারছে না গ্রামে। বামনগোলা ব্লকের চাঁদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট পাথারি থেকে বটতলী হয়ে প্রায় ১২টি গ্রামের প্রধান রাস্তা চলে গিয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, মাস খানেক আগে আত্রেয়ী, পুনর্ভবা ও তার শাখা হাড়িয়া নদীর জলে প্লাবিত হয়েছিল চাঁদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২টি গ্রাম। বন্যায় জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছিল গ্রামের ঢোকার প্রধান এই রাস্তাটি। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল ১২ টি গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা। 

    প্রতি বছর গ্রামে জল ঢোকার হাত থেকে রেহায় পেতে বাসিন্দাদের দাবি ছিল, ওই রাস্তায় একটি কালভার্ট। জেলা প্রশাসনের তরফে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করে কালভার্ট নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। পরে রাস্তায় জল কমে গেলে প্রায় ৪০ মিটারের একটি বাঁশের অস্থায়ী সাঁকো করেছে সেচ দপ্তর। সেখান দিয়ে কোনওরকমে পার হচ্ছেন গ্রামের বাসিন্দারা।  

    এক বাসিন্দা জানান, সীমান্ত বরাবর প্রায় ১২ কিমি ঘুরপথে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হচ্ছে রোগীদের। এছাড়াও অন্যান্য সমস্যা তো রয়েছেই। চাঁদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পাপিয়া ঢালি সরকার বলেন, বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সমাধান হবে।

    সেচ দপ্তর সূত্রে খবর, জেলা প্রশাসনের পরিদর্শনের পর কালভার্ট নির্মাণ নিয়ে সেচ দপ্তর ও পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন বিডিও মনোজিৎ রায়। সেচ দপ্তরকে কালভার্ট নির্মাণের জন্য অনুরোধ করেন তিনি। তখন সেচ দপ্তরের আধিকারিক এবিষয়ে লিখিত জমা দিতে বলেন বিডিওকে।  বামনগোলার বিডিও বলেছেন, সেচ দপ্তরে লিখিত পাঠানো হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)