• ওঁর হাত থেকে পুরস্কার নেওয়া মনে আছেকৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী (চেয়ারম্যান, ইংলিশবাজার)
    বর্তমান | ০৯ আগস্ট ২০২৪
  • বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ছোটবেলা থেকেই চিনি। ইংলিশবাজার শহরে আমার বাড়ির ঠিক পাশেই সিপিএমের মালদহ জেলা কমিটির অফিস। সেখানে তিনি মাঝেমধ্যেই আসতেন। কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করতেন। ফলে ছোটবেলায় তাঁকে বহুবার নিজের পাড়ায় বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়া আসা করতে দেখেছি। 

    সকালে তাঁর মৃত্যুসংবাদ শোনামাত্রই মন খুব খারাপ হয়ে যায়। খুবই সাধারণভাবে থাকতেন, চলাফেরা করতেন। আমরা একজন ভালো মানুষকে হারালাম। 

    আমার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে বুদ্ধবাবুর অনেক দিনের পরিচয়। যখন  মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না, তখন থেকেই আমরা একে অপরকে চিনতাম। বুদ্ধবাবু যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, আমি ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান। দিনটা আজও মনে আছে। ৬ অক্টোবর, ২০০৪ সাল। কলকাতার একটি হোটেলে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের হাত থেকে ‘এনভায়রনমেন্ট এক্সিলেন্সি অ্যাওয়ার্ড’ নিয়েছিলাম।  

    ইংলিশবাজারের বিধায়ক থাকাকালীন বিধানসভার ভিতরে হোক বা রাইটার্স বিল্ডিং, তাঁর কাছে কোনও সমস্যা নিয়ে যাওয়া মাত্রই সমাধান করে দিতেন।  

    একবার হঠাৎ করে আমার নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল। তখন আমি ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান এবং বিধায়ক। রাইটার্সে যাওয়া মাত্র শত ব্যস্ততার মাঝেও বুদ্ধবাবু আমাকে ডেকে নেন। সমস্যার কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে এক আমলাকে ডেকে পাঠান এবং দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেন।
  • Link to this news (বর্তমান)