• গোপালপুরে অসংরক্ষিত এলাকায় গঙ্গা ভাঙনে আতঙ্ক
    বর্তমান | ০৯ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মানিকচক: গঙ্গার জল বাড়তেই ফের ভাঙন শুরু গোপালপুরে। কয়েক দিনের বৃষ্টির পর বুধবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়েছে ভাঙন। রাত জেগে নদীর পাড়ে নজরদারি চালাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার গঙ্গার জলস্তর বেড়ে হয়েছে ২৪.১৫ মিটার। যা অবশ্য বিপদসীমার নীচেই। তবে গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভূতনি ও রতুয়া এলাকায় ভাঙন রোধের কাজ হলেও গোপালপুরে হয়নি। সেজন্য আতঙ্কে এলাকাবাসী। যদিও গোপালপুরের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে মালদহ জেলা সেচ দপ্তর।

    সেখানকার এক আধিকারিক বলেন,এখনও গঙ্গার জল বিপদসীমায় পৌঁছয়নি। সেই পরিস্থিতি তৈরি হলে আমরা জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেব। 

    মানিকচক ব্লকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কামালতীপুর দক্ষিণ হুকুমতটোলা ও এলাহিটোলায় চলছে ভাঙন। এক মাস ধরে ভাঙনের আতঙ্কে পাড়ের বাসিন্দারা। মাঝে কিছুদিন ভাঙন বন্ধ থাকলেও আবার শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে কামালতীপুর ও দক্ষিণ হুকুমতটোলার বেশ কিছু অসংরক্ষিত এলাকায় পাটের জমিতে জল ঢুকতে শুরু করেছে। যার ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন পাট চাষিরা। স্থানীয় চাষি শেখ সিরাজুল বলেন, গত বছর গঙ্গা নদীর জলে কলাখেত ডুবে গিয়েছিল। এবছরও পাটখেত নষ্ট করে দিতে পারে। তাই আগেভাগেই জমি থেকে পাট কেটে নিচ্ছি।

    এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ মতাউল হক বলেন, গত দু’দিনে প্রায় তিনফুট জল বেড়েছে। উত্তর হুকুমতটোলা গ্রাম আগেই তলিয়েছে। এবার কামালতীপুর দক্ষিণ হুকুমতটোলা ও এলাহিটোলার পালা। দক্ষিণ হুকুমতটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মাত্র ১০ মিটার দূরে নদী। যে কোনও মুহূর্তে গঙ্গাগর্ভে তলিয়ে যাবে স্কুল। কামালতীপুরের বাসিন্দারা তো রাত জাগতে শুরু করেছেন। সেখানকার মোজাম্মেল হক বলেন, কেন্দ্র, রাজ্য- কেউই আমাদের দিকে ঘুরে তাকাচ্ছে না। যার ফল ভুগতে হচ্ছে আমাদের।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)