কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়: নৃতত্ত্ব থেকে আইন বিভাগে চলে যাচ্ছে মানবাধিকার, পাল্টা মামলা হাইকোর্টে
বর্তমান | ০৯ আগস্ট ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘মানবাধিকার’ বিষয়টি নিয়ে টানাটানি চলছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’টি ডিপার্টমেন্টের মধ্যে। নৃতত্ত্ব বিভাগ থেকে সেটিকে আইন বিভাগে সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আর তা নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গবেষকদের একাংশ হাইকোর্টে মামলাই করে বসেছেন।
নৃতত্ত্ব বিভাগে শিক্ষক-গবেষকদের দাবি, আইন বিভাগে মানবাধিকার বিষয়টি গেলে নানা জটিলতা তৈরি হবে। কোর্সটির যে মাল্টিডিসিপ্লিনারি চরিত্র রয়েছে, ব্যাহত হবে সেটি। আগামীতে আইনের ছাত্রছাত্রী ছাড়া আর কেউ বিষয়টি পড়তে পারবেন না।
২০০২ সাল থেকে নৃতত্ত্ব বিভাগে অধ্যাপক বুদ্ধদেব চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে চালু হয়েছিল মানবাধিকার শিক্ষার বিষয়টি। তবে, চলতি বছরে একটি সিন্ডিকেট বৈঠকে সেটিকে আইন বিভাগে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। প্রস্তাব দিয়েছিলেন ল’ ফ্যাকাল্টির ডিন শচী চক্রবর্তী। তাঁর মেয়াদ শেষে হয়েছে জুলাইয়ে। তবে, এই শিক্ষাবর্ষ থেকে বিষয়টি আইন বিভাগেই চালাতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। সিলেবাস পরামর্শদাতা কমিটির মাথায় রাখা হয়েছে রাজ্য পুলিসের প্রাক্তন ডিজি নাপরাজিত মুখোপাধ্যায়কে। নৃতত্ত্ব বিভাগের প্রধান এবং বি আর আম্বেদকর চেয়ার প্রফেসর সুব্রতশঙ্কর বাগচি এবং ল’ ফ্যাকাল্টির ডিন এবং বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক জে কে দাস বিষয়টি বিচারাধীন বলে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য শান্তা দত্ত বলেন, ‘মানবাধিকার বিষয়টি আলাদা বিভাগ ছিল না। সেটি নৃতত্ত্বের একটি শাখা হিসেবেই চলত। ডিন যখন বলেন, বিষয়টি ল’ বিভাগে আসা উচিত, কারণ আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের সঙ্গে আইনের সম্পর্ক বেশি, তখন প্রস্তাবটি গ্রহণ করে সিন্ডিকেটে ফেলি। সবাই সেটি সমর্থন করেন। নতুন ছাত্রছাত্রীরাই এর আওতায় আসবেন। পুরনোরা আগের মতোই এমএ অথবা এমএসসি ডিগ্রি পাবেন। মামলার কথা আপনার কাছ থেকেই জানলাম।’
ন্যাশনাল ইউভার্সিটি অব জুরিডিক্যাল সায়েন্সেসের (এনইউজেএস) উপাচার্য নির্মলকুমার চক্রবর্তী মানবাধিকার বিষয়ের পিএইচডি কমিটির এক্সটার্নাল সদস্য ছিলেন। তবে, সেই কমিটিও ভেঙে নতুন করে তৈরি হবে। ঠিক হয়েছে এবার এমএ, এমএসসির মতো এলএলম ডিগ্রি পাবেন ছাত্রছাত্রীরা।