• আতঙ্ক কাটাতে চিকিৎসার দোহাই দিয়ে অনেকে চলে আসছেন এপার বাংলায়
    বর্তমান | ০৯ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, পেট্রাপোল: ওপার বাংলা থেকে সহজে ভারতে আসতে দিচ্ছে না মাতব্বররা। বহু কাকুতিমিনতি করে চিকিৎসার কথা বললে তবেই তারা ভারতে আসতে অনুমতি দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার পেট্রাপোল স্থলবন্দরের সামনে দাঁড়িয়ে এই কথাটাই বলতে শোনা গিয়েছে রাজেশ দাসকে (নাম পরিবর্তিত)। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যপরীক্ষার নাম করে আমি কোনওক্রমে চলে এসেছি। নাহলে দুর্বৃত্তরা আমাদের বাঁচতে দিত না। আমি যাব মায়াপুর ইস্কনে। ওখানে যশোরের বাড়িতে বাবা-মা রয়েছেন। কবে বাড়ি ফিরব জানি না। একইভাবে হতাশার কথা শোনালেন চিকিৎসা করাতে আসা বিশ্বাস ও দাস পরিবার। 

    বৃহস্পতিবার বিশ্বাস পরিবারের গৃহবধূ বলেন, গোপালগঞ্জে শেখ হাসিনার বাড়ি থেকে আমার বাড়ির দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। কিন্তু তার মধ্যেও আশপাশে যে তাণ্ডবলীলা ক’দিন ধরে চলছে, তা ভোলার নয়। চল্লিশোর্ধ্ব ওই গৃহবধূ বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চোখে না দেখলেও বইয়ে পড়েছি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে সেটাকে বদলে দিল এই ক’দিনের হানাহানি। গোপালগঞ্জে হিংসার পরিমাণ ছিল অনেক বেশি। বাড়ি ভাঙচুর হয়নি ঠিকই, কিন্তু ব্যাপক তাণ্ডব চলছে, সর্বত্র আগুন জ্বলেছে। এদিকে, দাসবাড়ির গৃহবধূ পম্পা দাস (নাম পরিবর্তিত) আক্ষেপের সুরে বলেন, ভয়ঙ্করভাবে হাসিনার বাসভবনে হামলা হয়েছে। আতঙ্ক নিয়েই আমরা ভারতে এসেছি চিকিৎসা করাতে। এরপর কলকাতাতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকব। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ক’দিন পরে বাড়ি ফিরব। 

    অন্যদিকে ১ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছিলেন মৌসুমি-ফিরদৌসিরা। তাঁদের যাওয়ার কথা ছিল মেঘালয়। কিন্তু কেবল দার্জিলিং ঘুরেই তাঁরা তাঁদের বাড়ি যশোরে ফিরছেন। বৃহস্পতিবার ফিরদৌসি বলেন, এই অবস্থায় বাইরে মন থাকে না। তাই আনন্দ ভুলে বাড়ি ফিরব। মাঝে এমন পরিস্থিতি হয়েছিল, বাড়িতে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তাই বেড়ানোতে কাঁটছাট করে আমরা বাড়ি ফিরছি। ওখানে গিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যা দেখেছি, সেটাই আতঙ্ক জাগানোর 

    মতো।
  • Link to this news (বর্তমান)