• পৃথক পাম্পিং স্টেশনের ভাবনা নিকাশির সংস্কার গার্ডেনরিচে
    বর্তমান | ০৯ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বজবজ: ফি বছর বর্ষায় কলকাতা পুরসভার বেহালা এবং গার্ডেনরিচের নিকাশির জলে ভেসে যায় মহেশতলা পুরসভার অন্তত ১৫টি ওয়ার্ড। সব থেকে খারাপ অবস্থা হয় ১ থেকে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে। এই জলযন্ত্রণা থেকে কীভাবে মুক্তি পাওয়া যায়, তা নিয়ে বৃহস্পতিবার মহেশতলা পুরসভায় দীর্ঘ বৈঠক হয়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিং, নিকাশি বিভাগের ডিজি, মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান দুলাল দাস, ভাইস চেয়ারম্যান, প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা। বেহালা পশ্চিমের একাধিক ওয়ার্ডের জল বেগর খাল হয়ে মহেশতলার দিকে মণিখাল হয়ে বের হয়। বৈঠকে মহেশতলা পুরসভার পক্ষ থেকে বলা হয়, বেগর খালের নাব্যতা একেবারে কমে গিয়েছে। ফলে বেহালার জল বেগর খাল দিয়ে সঠিকভাবে বের হতে পারছে না। সেই জল এসে মহেশতলার ১২, ১৩, ১৪ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডকে প্লাবিত করে। নিচু এলাকার বসতি, রাস্তাঘাট ডুবে থাকছে সেই জলে। কলকাতা পুরসভার আধিকারিকরা বলেন, আপাতত জরুরি ভিত্তিতে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের জল বের করতে একাধিক পাম্প বসানো হবে। ভবিষ্যতে ওই ওয়ার্ডে একটি স্থায়ী পাম্পিং স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। যাতে তার মাধ্যমে সরাসরি মণিখালে পাঠানো যায়। সিদ্ধান্ত হয়, কলকাতা ও মহেশতলা পুরসভা যৌথভাবে বেগর খালের নাব্যতা পরীক্ষা করবে। সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে সেচমন্ত্রীকে। পাশাপাশি গার্ডেনরিচের একাধিক ওয়ার্ডের নিকাশি জল মহেশতলার ১ থেকে ১০ নম্বর ওয়ার্ড হয়ে বের হয়। ওই জলেই ডুবে যায় মহেশতলার ওয়ার্ডগুলি। এই সমস্যা দূর করতে গার্ডেনরিচের ভূগর্ভস্থ নিকাশি ব্যবস্থার সংস্কারে হাত দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। এর জন্য ১৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এই দশটি ওয়ার্ডের মধ্যে ২, ৩ এবং ১০ নম্বরে সমস্যা বেশি। সেখানেও নিকাশি সংস্কারে জোর দেওয়া হয়েছে। মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান মুদিয়ালি ও সন্তোষপুরে নিকাশি ব্যবস্থার সংস্কারে জোর দিয়েছেন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তারক সিং।
  • Link to this news (বর্তমান)