• হাওড়ায় গোটা স্কুল চত্বর জলের তলায় নিরুপায় কর্তৃপক্ষ,  ক্লাস নেওয়া হচ্ছে অনলাইনে
    বর্তমান | ০৯ আগস্ট ২০২৪
  • সুদীপ্ত কুণ্ডু,হাওড়া: গোটা স্কুল চত্বর জলের তলায়। স্কুলের প্রবেশ পথ ও পাশের নর্দমা মিলেমিশে একাকার। আশপাশ থেকে কচুরিপানা জলে ভেসে এসে আটকে রয়েছে স্কুলের গেটে। গত এক সপ্তাহ ধরে এই পরিস্থিতি। বাধ্য হয়ে ক্লাস বন্ধ রেখেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। হাওড়ার বামনগাছি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের এখন ক্লাস হচ্ছে অনলাইনে।

    পড়ুয়াদের অভিভাবক ও বামনগাছির বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিবছর সামান্য বৃষ্টি হলেই গোটা এলাকা জলাশয়ে পরিণত হয়। বৃষ্টি থামার সাত থেকে ১০ দিন পরেও জল নামে না। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়টি যে জায়গায় অবস্থিত, সেখানে জল জমার সমস্যা সবথেকে বেশি। স্কুলে ঢোকার রাস্তাটি অনেকটাই নিচু। তাই হাঁটু জলে অনেকেই পিছলে পড়ে যাচ্ছেন। ফলে পড়ুয়াদের স্কুলে যাওয়াই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। গত সপ্তাহ পর্যন্ত স্কুলের পঠনপাঠন স্বাভাবিক থাকলেও বর্তমানে গোটা স্কুল প্রাঙ্গণ জলের তলায়। বাধ্য হয়ে চলতি সপ্তাহে শুধুমাত্র শিক্ষক শিক্ষিকারাই স্কুলে আসছেন। স্কুল থেকেই ভিডিও কলের মাধ্যমে ক্লাস নিচ্ছেন তাঁরা।

    বামনগাছি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের সামনে যেতেই দেখা গেল, স্কুলের মেইন গেটের সামনে জলে ভাসছে কচুরিপানা। কচুরিপানা কাটিয়ে ভিতরে যাওয়া সম্ভব হলেও সেখানেও প্রায় হাঁটু সমান জল। স্কুলের অফিসে থাকা শিক্ষা কর্মীদের কথায়, প্রত্যেক বছর জল জমার কারণে ক্লাসরুম বন্ধ রাখতে হয়। গত সপ্তাহে ভারী বৃষ্টির কারণে যে পরিমাণ জল জমেছে, তাতে কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে জানা নেই। স্কুলের অফিস ইনচার্জ বলেন, এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের স্কুলে ঢোকা সম্ভব নয়। তাই তাদের আপাতত স্কুলে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে রোজ ক্লাসরুমে যেভাবে পড়ানো হয়, সেটাই অনলাইনে চলছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সামসের কুমার সিং বলেন, শিক্ষক শিক্ষিকারাও জল পেরিয়ে স্কুলে আসতে ভীষণ সমস্যায় পড়ছেন। পঠন পাঠন চালু রাখতে তাই বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

    এই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা প্রায় ১৫০০ জন। শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী মিলিয়ে রয়েছেন ৫৫ জন। ইতিপূর্বে একাধিকবার হাওড়া পুরসভা, স্থানীয় বিধায়ক ও সাংসদকে সমস্যার কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। পড়ুয়াদের অভিভাবক দীনেশ কুমার, রীতা সিং, আশিস চৌবেরা বলেন, এই এলাকার জল নিকাশি ব্যবস্থা চরম বেহাল। ছেলেমেয়েদের এখন স্কুলে পাঠানো সম্ভব নয়। তাই ভিডিও কলের মাধ্যমে অনলাইন ক্লাসই ভরসা। বিষয়টি নিয়ে হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক বলেন, যেহেতু জায়গাটি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে, তাই পুরসভা কাজ করতে পারছে না। হাওড়া পুরসভাকে নো অবজেকশন দেওয়া হলে ওই এলাকায় জল বের করার ব্যাপারে বিকল্প ব্যবস্থা 

    নেওয়া হবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)