• নিষিদ্ধ প্লাস্টিক প্রতিরোধে উদ্যোগই নেই, বর্ষায় ডেঙ্গু নিয়ে বাড়তি উদ্বেগ হুগলিতে
    বর্তমান | ০৯ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের ব্যবহার রুখতে ধারাবাহিক উদ্যোগ নেই হুগলি জেলায়। প্রশাসন থেকে পুরসভা, পঞ্চায়েত থেকে আম জনতা, সব মহলের উদাসীনতার কারণেই উত্তরপাড়া থেকে বাঁশবেড়িয়া, চণ্ডীতলা থেকে সিঙ্গুর— সর্বত্রই প্লাস্টিকের ব্যবহার সমানভাবে চলছে। পুরসভাগুলি এ নিয়ে প্রচারাভিযান চালালেও তা লোকদেখানো। তাতে কিছু প্লাস্টিক বাজেয়াপ্ত হওয়ার বাইরে কোনও উপকার হয়নি। অথচ, নিষিদ্ধ প্লাস্টিক যেমন পরিবেশের ক্ষতি করে, তেমনই নিকাশি নালাগুলিকে অবরুদ্ধ করে দেয়। আবার, প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বৃষ্টির জল ধরে রাখতে পারে। যা ডেঙ্গু মরশুমে ভোগান্তির কারণ হতে পারে।

    হুগলির আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চাকার সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নিষিদ্ধ প্লাস্টিক নিয়ে ধারাবাহিক পদক্ষেপ করতে প্রশাসন ও পুরসভা যেমন উদাসীন, তেমনই আম জনতার কোনও সচেতনতা নেই। পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী গৌতম সরকার বলেন, প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগের মধ্যে ডেঙ্গু মশা বংশ বিস্তার করে। ফলে, ডেঙ্গু প্রতিরোধেও জন্যও প্লাস্টিক বিরোধী অভিযান হওয়া উচিত। সেই উদ্যোগের অভাব রয়েছে। চুঁচুড়ার পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায় বলেন, আমরা নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের সমস্যা নিয়ে জনসচেতনতা গড়ার চেষ্টা করছি। কোথাও কোথাও অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু সাফল্য বিশেষ আসেনি। নিকাশি নালাগুলিতে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ জমে যাওয়ায় জল পরিবহণ ক্ষমতা কমেছে। তাতে মশা, মাছির উপদ্রব বাড়ছে। সম্প্রতি কোন্নগর পুরসভা নিষিদ্ধ প্লাস্টিক বিরোধী অভিযানে নেমেছিল। কিন্তু দিন দু’য়েকের মধ্যেই তা বন্ধ হয়ে যায়। পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন দাস বলেন, আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। ফের অভিযান চালানো হবে। তবে আগের থেকে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমেছে। হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধাড়া বলেন, পতঙ্গবাহিত রোগ থেকে দূষণ, সবের মূলেই আছে প্লাস্টিক। আমরা তা রোধ করার চেষ্টা চালাচ্ছি। হুগলিতে নিষিদ্ধ প্লাস্টিক নিয়ে অভিযান মাঝেমধ্যে হলেও তাতে এর ব্যবহার রুখে দেওয়া যায়নি। নর্দমা বুজে যাওয়া, মাটির উর্বরাশক্তি কমে যাওয়ার সমস্যা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। আবার ডেঙ্গু ও বর্ষা মরশুমে প্লাস্টিকে জল আটকে থাকায় ডেঙ্গু মশার পালনক্ষেত্র হয়ে উঠছে। আসলে এ নিয়ে সব মহলই উদাসীন। 
  • Link to this news (বর্তমান)