• গান স্যালুট থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ‘‌না’‌ জানাল আলিমুদ্দিন, বাংলায় এলেন কারাত
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ আগস্ট ২০২৪
  • আজ, শুক্রবার বিধানসভায় নিয়ে আসা হবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মরদেহ। কিন্তু সেখানে কোনও গান স্যালুট নেওয়া হবে না। কোনও সরকারি ব্যবস্থাপনাও গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়ে দিল আলিমুদ্দিনের নেতারা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শেষযাত্রা সাদামাটা রাখতেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানাল সিপিএম নেতৃত্ব। আজ দেহদান হবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। আলিমুদ্দিনের পার্টি অফিসে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর মরদেহ যাবে দীনেশ মজুমদার ভবনে। সেখান থেকে এনআরএস হাসপাতালে যাবে প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দেহ। আর এই ঘটনা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    এদিকে যে কোনও রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পদমর্যাদার জেরে চিকিৎসা–সহ নানা সরকারি সুবিধা পেয়ে থাকেন। কিন্তু ২০১১ সালে বাংলার ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর কখনও সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করতে যেতেন না বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এমনকী অসুস্থ বুদ্ধবাবুকে এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বুদ্ধবাবু সেটাও নেননি বলে পরিবার ও দলীয় সূত্রে খবর। আজ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শেষযাত্রায় পিস ওয়ার্ল্ড থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হবে বিধানসভায়। প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে শেষশ্রদ্ধা জানানো হবে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে। সেখান থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হবে দীনেশ মজুমদার ভবনে। কিন্তু কোনও সরকারি সুবিধা নেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    অন্যদিকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবার পূর্ণ দিবস সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তিনি জানান, পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্যালুট দেওয়া হবে তাঁকে। এই গান স্যালুট নেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের সিপিএম নেতারা। এমনকী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মারা গেলে তাঁর দেহ সরকারের প্রধান সচিবালয়ে নিয়ে যাওয়ার রীতি আছে। তবে সেখানেও নিয়ে যাওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারি কাজের বাইরে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রিয় জায়গা ছিল নন্দন। সেখানেও মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে না।

    এছাড়া প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াত হওয়ার পর ঠিক হয়েছিল রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ বিদায় জানানো হবে তাঁকে। কিন্তু সেটা হবে না। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেটা করা যাচ্ছে না। বুদ্ধবাবুর প্রয়াত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভিভিআইপি জোনে পরিণত হয় দক্ষিণ কলকাতার একচিলতে পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাট। বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিমরা দলের নেতা হিসাবে সেখানে আসেন। আবার সেখানে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাসরা। আজ শুক্রবার শেষশ্রদ্ধা জানাতে বাংলায় এলেন প্রকাশ কারাত, বৃন্দা কারাত, এমএ বেবি এবং মানিক সরকার।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)