• প্যারাসিটামল খাননি বুদ্ধবাবু, শেষে তা গুঁড়ো করে খাওয়ানো হয়...
    ২৪ ঘন্টা | ০৯ আগস্ট ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শেষ কয়েক বছর ধরেই অসুস্থতা। একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, ফিরেও এসেছেন একটু সুস্থ হয়ে। কিন্তু হাসপাতালে যেতে একটুও চাইতেন না বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বারবার বলতেন বাড়িতেই চিকিত্‍সার কথা। আশি বছরের ঘটনাবহুল জীবনে ইতি পড়লও তাঁর সেই পাম অ্যাভেনিউয়ের দু’কামরার ফ্ল্যাটেই। কিছুদিন আগেও ওয়াকার দিয়ে হাঁটাচলা করতেন বুদ্ধবাবু। শেষদিকে আর পারছিলেন না। তবে বুধবার রাতে অন্যদিনের মত স্বাভাবিক খাবারই খেয়েছেন। 

    ভাত, আলু পটলের তরকারি, ডিমের ঝোল। বৃহস্পতিবার সকালে চা বিস্কুট খান, জলখাবারে খান ছাতু, প্রোটিন পাউডার আর ওষুধ মিশিয়ে। তখনই দেখা যায়, গায়ে হালকা জ্বর। প্যারাসিটামল দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু খাননি বুদ্ধবাবু। শেষে তা গুঁড়ো করে খাওয়ানো হয়। তারপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভিভিআইপিতে ভরে যায় দক্ষিণ কলকাতার একচিলতে ফ্ল্যাট। বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিমরা যেমন আসেন, তেমনই আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    রবীন্দ্রনাথের কবিতা ভালবাসতেন। শেষদিনগুলোও সঙ্গী ছিল বই, গান, কবিতা। এখনও ঘরময় ছড়িয়ে ছিটিয়ে সব কিছু। কাকতালীয়ভাবে বুধবার ছিল বাইশে শ্রাবণ। ঠিক পরের দিনই এতদিনের গৃহকোণ ছেড়ে বরাবরের মত পাড়ি দিলেন বুদ্ধদেব। বর্ষার বিষণ্ণ আকাশ বিদায় জানাল তাঁকে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)