চেস্ট মেডিসিন বিভাগের স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন মৌমিতা দেবনাথ। গতকাল মৃত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ছাত্রী মৌমিতার নাইট ডিউটি ছিল বলে খবর হাসপাতাল সূত্রে। এরপরই এদিন সকালে প্রথম দেহ দেখতে পান নিরাপত্তারক্ষীরা। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় পুলিসে। দেহ উদ্ধারের পর তদন্তের জন্য ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ওদিকে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে হাসপাতালে গিয়ে পৌঁছেছেন নগরপাল বিনীত গোয়েল। ওদিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরাও। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। হাসপাতালে এসে পৌঁছেছেন মৃত ছাত্রীর বাবা-মা, আত্মীয় পরিজনরা। তাঁদের সঙ্গেও কথা বলছে পুলিস।
কীভাবে মৃত্যু হল ওই ছাত্রীর? ওই ছাত্রীকে কি খুন করা হয়েছে ? খুনের আগে তাঁকে কি যৌন নিগ্রহ করা হয়? সবদিক খতিয়ে দেখছে পুলিস। এই ঘটনায় ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়েছে আরজিকর কর্তৃপক্ষও। ওদিকে সোদপুরে মৌমিতার প্রতিবেশীরাও মানতে পারছেন না এঘটনা। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ছোট থেকেই এলাকায় মিশুকে বলে পরিচিত ছিলেন মেধাবী ছাত্রী মৌমিতা। সবার বিপদে আপদে পাশে দাঁড়াতেন। তাঁরা জানান, সোদপুর থেকেই যাতায়াত করতেন তিনি। বেশ কিছুদিন আগে গাড়িও কেনেন। সেই গাড়ি নিয়ে সোদপুর থেকেই প্রতিদিন যাতায়াত করতেন তিনি। হাসপাতালে কীভাবে সেই মেয়ের মৃতদেহ মিলল! তার উত্তর হাতড়াচ্ছেন সবাই। এই ঘটনায় সবাই হতভম্ব।