গতকাল পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেই বুদ্ধবাবুর চক্ষুদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমোলজি বা আরআইও থেকে বিশেষজ্ঞরা এসে বুদ্ধবাবুর চোখের কর্নিয়া দুটি সংগ্রহ করে নিয়ে যান। চিকিত্সকরা জানান, তাঁর কর্নিয়ার গুণগত মান বেশ ভাল রয়েছে। ছানি অপারেশন না করানোর কারণেই তাঁর কর্নিয়ার মান বেশ ভালো বলে মনে করছেন চিকিত্সকরা। হয়তো এটাও বুদ্ধববাবুর 'সুচিন্তিত' সিদ্ধান্ত! কর্নিয়া প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে দাতা এবং গ্রহীতার মধ্যে 'ম্যাচিং' মিলিয়ে দেখা হয়। এক্ষেত্রেও সেই 'ম্যাচিং' পাওয়ার পর, বৃহস্পতিবার রাতেই দুটি কর্নিয়া দুজনের চোখে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়। কর্নিয়াজনিত অন্ধত্বে ভুগছিলেন তাঁরা। আরআইও-তেই হয় অস্ত্রোপচার। কর্নিয়া প্রতিস্থাপনের পর তাঁরা দুজনেই এখন স্থিতিশীল আছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কর্নিয়াতে দৃষ্টি ফিরে পেতে চলেছেন তাঁরা। বুদ্ধবাবুর 'চোখ' দিয়েই 'ভবিষ্যত্' দেখবেন ওঁরা! যদিও নিয়ম অনুযায়ী, গ্রহীতাদের নাম, পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে বুদ্ধবাবুর দেহ শায়িত থাকে পিস ওয়ার্ল্ডে। শুক্রবার সকালে পিস ওয়ার্ল্ড থেকে বুদ্ধবাবুর নশ্বর দেহ প্রথম নিয়ে আসা হয় বিধানসভা ভবনে। প্রায় ৩০ মিনিট বিধানসভায় শায়িত ছিল দেহ। সেখানে বর্তমান সরকারের নেতা-মন্ত্রী থেকে বিধানসভার অগণিত কর্মী, সবাই শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। এরপর আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিআইএম-এর সদর দফতরে সবার শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য দুপুর ৩টে পর্যন্ত শায়িত থাকবে বুদ্ধবাবুর নশ্বর দেহ। তারপর সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে দীনেশ মজুমদার ভবনে। এরপর দেহদানের জন্য মিছিল করে প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে নিয়ে যাওয়া হবে শিয়ালদহের এনআরএস হাসপাতালে। সেখানেই সম্পন্ন হবে দেহদান প্রক্রিয়া।