আরজি করে কর্মবিরতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা, মৃতের বাবাকে ফোন মুখ্যমন্ত্রীর
এই সময় | ০৯ আগস্ট ২০২৪
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়ে কর্মবিরতি শুরু করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বিচারবিভাগীয় তদন্ত-সহ একাধিক দাবি তোলা হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে। ইতিমধ্যেই হাসপাতালে পৌঁছেছেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। তবে, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি থাকলেও জরুরি বিভাগে পরিষেবা মিলবে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, মৃতের বাবার সঙ্গে এদিন ফোনে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, যতক্ষণ কমিটি তৈরি হয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত না হচ্ছে এবং অন্য দাবি না মিটছে, ততক্ষণ কর্মবিরতি চলতে থাকবে। রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে এই কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে। এই সংগঠনের সদস্য আরিফ আহমেদ লস্কর বলেন, ‘যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা অত্যন্ত সন্দেহজনক। মেয়েটিকে হত্যা করা হয়েছে। এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’
তাঁদের দাবি, বিচার বিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে তদন্ত করাকালীন পাঁচজন জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিকে রাখতে হবে। দেহের ময়নাতদন্ত আরজি কর মেডিক্যাল কলেজেই করা হোক বলেও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। হাসপাতালের ভেতরে নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীরা আদৌ থাকতো কিনা, সে ব্যাপারে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। অন্যদিকে, মৃত চিকিৎসকের বাবার সঙ্গে এদিন ফোনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিকিৎসকের মৃত্যু নিয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে তদন্ত করা হবে বলে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার রুম থেকে ট্রেনি মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা চিকিৎসক হাসপাতালের চেস্ট ডিপার্টমেন্টের স্নাতকোত্তর স্তরের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে কর্মরত ছিলেন তিনি। আজ সকাল ১১ টা থেকে সাড়ে এগারোটা নাগাদ সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে সহকর্মীরা। দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে জানতে পারা যাচ্ছে। এছাড়াও তাঁর পোশাক অবিন্যস্ত ছিল বলেও জানা গিয়েছে। চিকিৎসকের সহকর্মীদের অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে।