দুর্দান্ত সাহসিকতার পরিচয় দিলেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত এক সিভিক ভলান্টিয়ার। কার্যত একার চেষ্টায় উদ্ধার করলেন অপহৃতা নাবালিকা। ঘটনায় পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের থেকে রীতিমতো প্রশংসিত শেখ শামিম হোসেন নামে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। এমনকী সাহসিকতার জন্য পুরস্কৃতও করা হয়েছে তাঁকে।পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক ভিডিয়োতে নিজেই গোটা ঘটনার কথা জানিয়েছেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। শামিম জানান, ব্রতচারিয়া সিনিয়র সিটিজেন স্কুলে তিনি ডিউটিতে ছিলেন। সেই সময় একটি বাচ্চা এসে তাঁকে জানায় যে তার বোনকে কেউ বা কারা লালরঙের বাইকে করে তুলে নিয়ে গিয়েছে। বাচ্চাটির মুখে ওই কথা শোনার পরে আর কালবিলম্ব করেননি শামিম। সঙ্গে সঙ্গে বাইক নিয়ে নারকেল বাগানের দিকে রওনা দেন। একইসঙ্গে নিউটাউন ট্রাফিক গার্ডেও বিষয়টি জানান শামিম।
এদিকে ওই সিভিক ভলান্টিয়ায় তাদের ধাওয়া করছে বুঝতে পেরে, নাবালিকাকে বাইক থেকে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। শামিম সঙ্গে সঙ্গে সেই বালিকাকে উদ্ধার করে নিজের পোস্টে নিয়ে যান। তারপর তাকে তুলে দেওয়া হয় তার বাবা মায়ের হাতে। এদিকে গোটা ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়ে পুলিশমহলে। পৌঁছে যান ডিসি ট্রাফিক ও ডিসি নিউটাউন। এরপর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে, বাইকের নম্বরের মাধ্যমে পাকড়াও করা হয় অভিযুক্তকে।
এই ঘটনায় শামিমকে ঘিরে রীতিমতো জয়জয়কার পড়ে গিয়েছে পুলিশ বিভাগে। ইতিমধ্যেই সাহসিকতার জন্য তাঁকে পুরস্কৃতও করা হয়েছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ফেসবুক পেজেও তাঁকে নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ভিডিয়ো। সেই ভিডিয়োতে শামিমের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরাও। প্রচুর পরিমাণে শেয়ারও হয়েছে সেই ভিডিয়ো। ভবিষ্যতে যদি প্রয়োজন হয়, কর্তব্য পালনের জন্য নিজের জীবন পর্যন্ত বাজি রাখতে পারেন বলেই জানিয়েছেন শামিম।
উল্লেখ্য, আরও যে সমস্ত সিভিক ভলান্টিয়াররা শামিমের মতো সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, তাঁরাও নিজেদের সেই ঘটনার কথা জানাতে পারেন friendsofwbpolice@gmail.com ইমেল আইডিতে।