• রাজ্যকে উন্নয়নের নতুন যুগে নিয়ে গিয়েছিলেন, বুদ্ধ-জায়াকে লিখলেন রাহুল গান্ধী
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ আগস্ট ২০২৪
  • প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রীকে চিঠি লিখে সমবেদনা জানালেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। চিঠিতে রাজ্যের উন্নয়নে বুদ্ধবাবুর অবদানের কথা স্মরণ করেন তিনি।

    চিঠিতে রাহুল গান্ধী লিখেছেন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অবিচল দূরদৃষ্টি পশ্চিবঙ্গকে আজকের চেহারা দিতে ব্যপকভাবে সাহায্য করেছে। রাহুল গান্ধী লিখেছেন, অতীততে পিছনে ফেলে গোঁড়ামি ভেঙে তিনি পশ্চিবঙ্গের রূপান্তর ঘটাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। তাঁর প্রত্যয় ও দূরদৃষ্টি পশ্চিমবঙ্গকে উন্নয়নের নতুন যুগে নিয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলায় পোস্ট করে বুদ্ধবাবুকে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। এবার বুদ্ধবাবুর স্ত্রীকে সমবেদনা জানিয়ে চিঠি লিখলেন তিনি।

    বৃহস্পতিবার কলকাতা পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটে প্রয়াত হন বুদ্ধদেব। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। বুদ্ধবাবুর মৃত্যুতে রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া। বুদ্ধবাবুর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীও। তিনি বলেন, ‘বুদ্ধবাবুর সততা ছিল প্রশ্নাতীত। ওনার মতো মানুষ আগামীর রাজনীতিকদের দৃষ্টান্ত হবেন।’

    বাম রাজনীতিতে উদারপন্থী বলে পরিচিত ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ২০০০ সালে মুখ্যমন্ত্রী হয়েই রাজ্যে শিল্পস্থাপনের জন্য উদ্যোগী হন তিনি। ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর টাটা গোষ্ঠীকে মোটরগাড়ি কারখানা তৈরির আমন্ত্রণ জানান রাজ্যে। দলের বাইরে তো বটেই, দলের মধ্যেও বুদ্ধবাবুর বিরোধীর সংখ্যা নেহাত কম ছিল না। টাটারা সিঙুর ছাড়ার কথা ঘোষণা করার পর কার্যত ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের পরাজয়ের পর রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে যান বুদ্ধবাবু। নিজেকে গৃহবন্দি করে ফেলেন তিনি।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)