ভাঙা চশমা, গলায়-ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন! আরজি করের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
এই সময় | ১০ আগস্ট ২০২৪
আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হল। হলে নিচু একটি খাটের মতো জায়গায় পাওয়া যায় দেহ। মৃত চিকিৎসকের দেহে সেরকম পোশাক ছিল না। গলায় ও ঠোঁটে ছিল আঘাতের চিহ্ন। মহিলা চিকিৎসকের দেহ এই অবস্থাতেই উদ্ধার করা হয় শুক্রবার বলে পুলিশ সূত্রে খবর।আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনার পরেই হাসপাতালে আসেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এস কে সাহা জানিয়েছেন, মৃত তরুণীর গলায় ও ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। তাঁকে চিৎ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। তরুণীর গায়ে যে কাপড় ছিল, সেটাতেও রক্তের দাগ মিলেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। চিকিৎকসের চশমাটি ভাঙা অবস্থায় ছিল।
ওই তরুণী সেমিনার হলে নিজেই গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে। তাঁর উপর কোনও শারীরিক আক্রমণ হয়েছে কিনা সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তাঁকে হত্যা করা হলে ঠিক কী ভাবে হত্যা করা হয়েছে? সেটাও তদন্ত করে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই তরুণীর দেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই মহিলা চিকিৎসককে হত্যা করা হলে একজন না একাধিক ব্যক্তি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সে ব্যাপারেও প্রমাণ জোগাড়ের চেষ্টা হচ্ছে।
মৃতের পরিবার এদিন হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে জানিয়েছেন, তাঁদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। হত্যার বিচার দাবি করেছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে মৃত চিকিৎসকের বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার সকালে আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হল থেকে স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার করা হয়। এরপরেই গোটা হাসপাতাল চত্বরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ইতিমধ্যে এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করে কর্মবিরতি শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। খুব শীঘ্রই এই তদন্তের কিনারা করা যাবে বলেই মনে করছে পুলিশ।