পড়শি রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ চরমে। তার মধ্যেই এপার বাংলায় প্রবেশের চেষ্টায় সীমান্তে জমায়েত একাধিক বাংলাদেশির। শুক্রবার কয়েকশো মানুষ নদী পার করে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন বলে খবর। ঘটনাটি কোচবিহার জেলার শীতলকুচি ব্লকের গোলনাহাটি অঞ্চলের।জানা গিয়েছে, স্থানীয় পাঠানটুলি গ্রামের কাশিয়ার বারুণী এলাকায় খর্প নদী পার করে এপার বাংলায় প্রবেশের চেষ্টা করেন বাংলাদেশিরা। মূলত এই এলাকার পাশেই রয়েছে বাংলাদেশের দই খাওয়া গ্রাম। সকাল থেকে কয়েকশো মানুষ ভারতের কাঁটাতার থেকে প্রায় চারশো মিটার দূরে লালমণিরহাট জেলার খর্প নদীর সামনে জমায়েত করেন। এই এলাকায় রয়েছে কাঁটাতারের বেড়া এবং খর্প নদীটিও ভারতের অন্তর্ভুক্ত। কাঁটাতারের এপারে কোচবিহার জেলা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন BSF-এর আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিল শীতলকুচি থাকার পুলিশও।
সূত্রের খবর, নোম্যান্সল্যান্ডের বেশ খানিকটা জায়গা পর্যন্ত BSF জওয়ানরা পৌঁছে গিয়েছেন যাতে ওপার বাংলা থেকে কেউ প্রবেশ করতে না পারে। এ বিষয়ে BSF-এর গোপালপুর সেক্টরের এক আধিকারিক জানান, গোটা বিষয়টি নজরে রাখা হচ্ছে। সীমান্তে BSF-এর টহলদারি বাড়ানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে অশান্তি শুরু হওয়ার পর থেকেই ওপার বাংলার সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছে অনেকে। বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের মধ্যে এই প্রবনতা দেখা দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির বেরুবাড়ি সীমান্তের ওপারে বহু মানুষ হাজির হয়েছিল ভারতে প্রবেশের জন্য। কাঁটাতারের গেট খুলে দেওয়ার দাবি তোলেন অনেকে। সকলকেই ওপার বাংলায় ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এরইমধ্যে শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশের দই খাওয়া ও গেন্দুগুড়ি গ্রাম দিয়ে কয়েকশো মানুষ সীমান্ত এলাকায় জমায়েত করেন। গেট খোলার দাবি জানায় তাঁরা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে টসাঁট করা হয় নিরাপত্তা। মাথাভাঙার মহকুমা শাসক নভনীত মিত্তাল সীমান্তের এক কিলোমিটারের মধ্যে সমস্ত রকমের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছেন।