• টোটো নিয়ে আসছে একগুচ্ছ নতুন নীতি! এরপর কী করবেন টোটো চালকেরা...
    ২৪ ঘন্টা | ১০ আগস্ট ২০২৪
  • বিধান সরকার: ব্যাটারিচালিত এই বাহনকে একসময় সাদরে গ্রহণ করেছেন মানুষ। কম খরচে সহজেই অনেকটা পথ পৌঁছে যাওয়া যায়। গত কয়েক বছরে রাজ্যে হু হু করে বেড়েছে টোটোর সংখ্যা। যার ফলে শহর বা শহরতলির একাধিক জায়গায় বেড়েছে যানজটও। আর রাস্তায় টোটো বাড়ার ফলে যানজট বেড়েছে শুধু তাই নয়, দুর্ঘটনাও বেড়েছে। জনস্বার্থেই এবার তাই বিষয়টি নিয়ে কঠোর হল রাজ্যের পরিবহণ দফতর।

    টোটোকে আসলে শৃঙ্খলার মধ্যে বাঁধতে চাইছে পরিবহণ দফতর। টোটো যে একটু বাঁধন-হীন হয়ে পড়েছে তার অনেক কারণ। একটি বিশেষ কারণ, টোটোর রুট পারমিট নিতে হয় না। প্রকৃতিগত ভাবে এটি একটি ই-রিক্সা। এই জটিলতাহীনতার জন্যই মুহূর্তে বাংলা জুড়ে বহু বেকার যুবকই টোটো চালাতে ঝুঁকছেন, টোটো চালাচ্ছেনও। অনেকেই জীবিকানির্বাহ করেন টোটো চালিয়েই।

    গত কয়েক বছরে তাই বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাটারিচালিত গাড়ির সংখ্যা। বর্তমানে সারা বাংলায় প্রায় ১০ লক্ষ টোটো চলে। শহরের অধিকাংশ এলাকাতেই টোটোর জন্য হচ্ছে যানজট। এর ফলে, সাধারণ পথচারী থেকে অ্যাম্বুল্যান্স, স্কুলবাসের মতো বিভিন্ন পরিবহণ সমস্যায় পড়ছে। অনেকেই টোটোর বিরুদ্ধে এই সব অভিযোগও করেন। তাই রাজ্যের পরিবহণ দফতর টোটোকে একটা শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে।

    আজ, শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী বলেন, একজন টোটোচালকও তাঁদের জীবিকা হারান, এটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও চান না, আমরাও কেউ-ই চাই না। তবে আমরা চাই, শহরকে যানজটমুক্ত করতে টোটো চালকেরা সিস্টেমের মধ্যে দিয়ে যেন টোটো চালান। তাঁরা নিয়ম মেনে টোটো চালালে শহরের বিভিন্ন এলাকাকে যানজট মুক্ত রাখা যাবে। 

    তিনি জানান, এজন্য পুলিশ প্রশাসন, পুরসভা ও পঞ্চায়েত সমিতি-- সকলকে নিয়েই একটি সিস্টেম তৈরি করা হবে। যেসব টোটো চালকরা আছেন, তাঁদের রেজিস্ট্রেশন করানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সেই কাজও শুরু হয়েছে। প্রত্যেক টোটো চালকই টোটো চালাবেন। মন্ত্রী আরও বলেন, টোটোর কোনও রুট হয় না। টোটোর কাজ হল যাত্রীদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এসে বাস রাস্তা বা হাই রোডের কাছে পৌঁছে দেওয়া। যেহেতু তাঁদের কোনও নির্দিষ্ট রুট নেই, তাই তাঁদের রুট পারমিটও নেই। তবে, বাজার বা স্টেশন-সংলগ্ন এলাকায় তারা যখন এক সঙ্গে রুটে নেমে পড়ছে তখন যানজট তৈরি হয়ে যাচ্ছে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)