নিহত তরুণী চিকিৎসকের পরিবারকে ফোন মমতার, দোষীদের শাস্তির আশ্বাস
প্রতিদিন | ১০ আগস্ট ২০২৪
অর্ণব দাস, বারাকপুর: বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঝাড়গ্রামে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নিহত তরুণী চিকিৎসকের পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা মুখ্যমন্ত্রীর। পানিহাটি পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সোমনাথ দে সেকথা জানান।
বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরন তরুণী। শেষবার রাতে মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয় চিকিৎসক তরুণীর। কান্নাভেজা গলায় তরুণী চিকিৎসকের মা বলেন, “ও বলল খাবার অর্ডার দিয়েছে। আমাদের খেয়ে নিতে বলল। তার পর আর কোনও কথা হয়নি। আমার মেয়েটাকে ওরা খুন করেছে। ওর মতো ভালো মেয়ে হয় না। অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে ছিল দেহটা। গায়ে কাপড় ছিল না। চশমাটাও ভেঙে গিয়েছে। মুখে আঘাতের দাগ। রাতে ও একাই ছিল সেমিনার হলে। লোকের সেবা করতে এসে ও নিজেই খুন হয়ে গেল।” তরুণীর বাবা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। যথাযথ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দোষীদের যোগ্য শাস্তি দেওয়া হবে বলেই সদ্য সন্তানহারা বাবাকে আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুক্রবার সকালে সেমিনার হল থেকে জুনিয়র ডাক্তারের অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল। ধর্ষণ করে খুন নাকি অন্য কিছু, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু কীভাবে হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্তের স্বার্থে ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে আর জি কর কর্তৃপক্ষ। কমিটিতে রয়েছেন ডা. বুলবুল মুখোপাধ্যায় (ডিন অফ স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার), ডা. পার্থ দাশগুপ্ত (রেডিওথেরাপির বিভাগীয় প্রধান), ডা. রামতনু বন্দ্যোপাধ্যায় (মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান), ডা. অনুভা সাহা (অ্যানাটমির বিভাগীয় প্রধান), ডা. পায়েল তালুকদার (মনোরোগ বিভাগের প্রধান)। এছাড়াও কমিটিতে রয়েছেন পিজিটির তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ডা. অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য এবং ডা. রমা বেরা এবং ডা. দেবকুমার মণ্ডল। পিজিটির দ্বিতীয় বর্ষের ডা. রণিত চক্রবর্তী। এছাড়াও দুই ইন্টার্ন ডা. নির্জন বাগচি এবং ডা. শরিফ হাসান। তাঁরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।