• ‘সন্দেহ হচ্ছে……’, শিল্পের জন্য সৌরভকে দেওয়া জমি নিয়ে জট, পরপর প্রশ্ন হাইকোর্টের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১০ আগস্ট ২০২৪
  • সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে জমি প্রদানের মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য সরকার। শুক্রবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন করে যে জমির নিলাম হয়েছে? যদি জমির নিলাম না হয়, তাহলে সেই কাজটা করা হয়নি কেন? সেইসঙ্গে হাইকোর্ট সাফ জানিয়েছে, স্বচ্ছতা বজায় রাখার স্বার্থে সেইসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আদৌও জমির নিলাম হয়েছে কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছে বিচারপতি বাগচি ও বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ। সেই পরিস্থিতিতে ওই মামলায় সবপক্ষকে তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    শিল্পের জন্য পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায় সৌরভকে প্রয়াগের ফিল্মসিটির যে জমি দিয়েছে রাজ্য সরকার, তা মাত্র এক টাকায় প্রদান করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে মামলা দায়ের করেন এক আমানতকারী। তাঁর বক্তব্য হল যে ফিল্মসিটি-সহ প্রয়াগ গ্রুপের একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নেওয়া হয়েছিল। সেইসব সম্পত্তি বিক্রি করে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত ফয়সালা আসার আগেই সৌরভদের হাতে রাজ্য সরকার সেই জমি তুলে দিয়েছে বলে দাবি করেন ওই ব্যক্তি।

    সেই মামলার শুনানিতে শুক্রবার হাইকোর্ট জানায়, এই মামলায় কী হয়, সেটার উপরে জমির মালিকানা নির্ভর করবে। যে ৩৫০ একর জমি নিয়ে যাবতীয় বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সেটার মধ্যে শৈলেন্দ্র তালুকদার কমিটির হাতে আছে ১১.২৮ একর। সেই জমি নিতে তালুকদার কমিটির কাছে রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হওয়া উচিত। সেটাই রাজ্যের দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। 

    হাইকোর্টের বক্তব্য, মামলার মধ্যেই একটি সংস্থাকে চন্দ্রকোণার জমি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই সময় ওই জমির ব্যবহার করতে পারবে না রাজ্য সরকার। সাধারণ মানুষ আস্থার অর্জনের জন্য সরেজমিনে গিয়ে ওই জমি নতুন করে খতিয়ে দেখতে হবে। তালুকদার কমিটি এবং সেবির সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে সেই কাজটা করতে হবে রাজ্য সরকারকে। ফিল্মসিটির জন্য যে যে পরিকাঠামো তৈরি করেছিল প্রয়াগ, সেটারও বাজারমূল্য হিসাব করে দেখতে হবে।

    হাইকোর্ট জানিয়েছে, যদি নিয়ম না মেনে জমি বিক্রি না করা হয়, সেটার ব্যাখ্যা দিতে হবে রাজ্য সরকার। তাতে যদি সন্তুষ্ট না হয় হাইকোর্ট, তাহলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। সেইসঙ্গে যাবতীয় তথ্য নিয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারকে হলফনামা পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি বাগচি ও বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ। পাঁচ সপ্তাহ পরে সেই মামলার শুনানি হবে। উল্লেখ্য, উচিত মূল্যেই সৌরভদের জমি হস্তান্তর করা হয়েছিল বলে দাবি করেছে রাজ্য সরকার।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)