• ‘আমার মেয়েকে কোথায় নিয়ে চলে গেল’, মহিলা চিকিৎসকের দেহ ‘লুঠ’, উত্তপ্ত আরজি কর
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১০ আগস্ট ২০২৪
  • ময়নাতদন্তের পরে মহিলা চিকিৎসকের দেহ কেন পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে না? তা নিয়ে শুক্রবার রাতে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল। ছড়িয়ে পড়ে তুমুল উত্তেজনা। বিক্ষোভকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। চূড়ান্ত ক্ষোভপ্রকাশ করে মৃত চিকিৎসকের ।’ একইসুরে এক বিক্ষোভকারী চিকিৎসক অভিযোগ করেন যে তুমুল ক্ষোভপ্রকাশ করে মৃতদেহ ‘লুঠ’ করে নিয়ে গেল পুলিশ। তদন্ত করতে পুলিশ ‘ভয়’ পাচ্ছে কেন, প্রশ্ন তোলেন বিক্ষোভকারীরা চিকিৎসকরা। যদিও বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুলিশের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

    সেইসঙ্গে চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বামনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, যে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হল, সেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই কীভাবে ময়নাতদন্ত করতে পারে? যাদের এলাকায় খুন হচ্ছে, তারাই কীভাবে ময়নাতদন্ত করতে পারে, প্রশ্ন তোলেন বামনেত্রী।

    তারইমধ্যে চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কমিটির নেতৃত্বে আছেন হাসপাতালে  ডিন। ইতিমধ্যে হাসপাতালে এসেছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করা হচ্ছে।

    শুক্রবার সকালে হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চারতলায় ওই চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ উঠেছে যে তাঁকে ধর্ষণ করে খুব করা হয়েছে। দেহ যখন উদ্ধার করা হয়েছিল, তখন পোশাক অবিন্যস্ত ছিল। যে সেমিনার হল থেকে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না। সেই পরিস্থিতিতে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তারইমধ্যে চিকিৎসকের পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    হাসপাতালে আসেন তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষও। তিনি দাবি করেছেন, চিকিৎসককে যে খুন করা হয়েছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আঘাত করা হয়েছে ২২ বছরের তরুণীকে। পুলিশ এবং প্রশাসন গুরুত্ব সহকারে ঘটনার তদন্ত করছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল বিধায়ক। যদিও বিক্ষোভরত চিকিৎসকদের অভিযোগ, সকাল থেকে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)