• পর্যটকদের জন্য সুখবর, এবার পুজোয় গোরুমারায় সাফারিতে বাড়ছে হাতি
    বর্তমান | ১০ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: পর্যটকদের জন্য সুখবর। এবার পুজোয় গোরুমারায় সাফারিতে হাতির সংখ্যা বাড়ছে। গোরুমারায় আপাতত সাফারির জন্য দু’টি হাতি রয়েছে। কিন্তু, তা দিয়ে পর্যটকদের চাহিদা মেটানো সম্ভব হয় না। ফলে গোরুমারায় এসে অনেকে হাতি সাফারির সুযোগ না পেয়ে মন খারাপ নিয়ে ফেরেন। পুজোয় পর্যটকদের ভিড়ের কথা মাথায় রেখে আরও দু’টি হাতি সাফারিতে যোগ করা হচ্ছে। কোন হাতিকে দিয়ে সাফারি করানো হতে পারে, তা চিহ্নিত করে ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর জঙ্গল খুললে ওই দুই হাতিকে দিয়ে কিছুদিন সাফারিতে ট্রায়াল দেওয়া হবে। তারপর পুজোর সময় থেকে পুরোদস্তুর কাজে লাগানো হবে সাফারিতে। 

    উত্তরবঙ্গের চিফ কনজারভেটর অব ফরেস্ট (ওয়াইল্ড লাইফ) ভাস্কর জে ভি বলেন, এখন গোরুমারায় সাফারির জন্য দু’টি হাতি রয়েছে। পুজোর সময় আমরা আরও দু’টি হাতিকে সাফারিতে যোগ করার চেষ্টা চালাচ্ছি। সেইমতো প্রশিক্ষণ চলছে। 

    লাটাগুড়ি রিসর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দিব্যেন্দু দেব বলেন, পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে গোরুমারায় সাফারিতে হাতির সংখ্যা বাড়ানোর জন্য আমরা বনদপ্তরের কাছে আর্জি জানিয়েছিলাম। যদি সাফারিতে হাতির সংখ্যা বাড়ে, তাহলে খুবই ভালো। 

    গোরুমারায় হাতির পিঠে চেপে গন্ডার দর্শনের অনুভূতি দারুণ রোমাঞ্চকর। কিন্তু, দু’টি হাতি দিয়ে সাফারি চলায় অনেকেই সেই সুযোগ পাচ্ছিলেন না। বনদপ্তর সূত্রে খবর, পুজোয় যে দু’টি নতুন হাতিকে সাফারিতে কাজে লাগানো হবে, তার একটি সাফারি শুরু করবে ধূপঝোরা থেকে, অন্যটি কালীপুর থেকে। বর্তমানে গোরুমারায় ২৮টি হাতি রয়েছে। এরমধ্যে চারটি হস্তিশাবক। বেশিরভাগ হাতিকেই জঙ্গল পাহারার কাজে ব্যবহার করা হয়। সাফারির জন্য রয়েছে জেনি ও মাধুরি নামে দু’টি হাতি। তাদেরই সঙ্গী হচ্ছে আরও দু’জন। এতে হাতি সাফারিতে পর্যটকের আসন সংখ্যা বেড়ে হবে ২৪। একটি হতি দিনে দু’বার করে সাফারি করাবে। গোরুমারায় হাতির সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি যাত্রাপ্রসাদ, চুকচুকি, চাপড়ামারি, চন্দ্রচূড় ও মেদলা ওয়াচ টাওয়ার সংস্কারের কাজও চলছে। ১৬ সেপ্টেম্বর জঙ্গল খোলার আগেই ওই কাজ শেষের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)