• কাকে ‘ধরলে’ নতুন কমিটিতে ঠাঁই মিলবে? বঙ্গ বিজেপিতে ধন্দ চরমে
    বর্তমান | ১০ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: লোকসভা ভোটের পর বঙ্গ বিজেপি কার্যত শীতঘুমে চলে গিয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সুকান্ত মজুমদারের বিদায় সময়ের অপেক্ষা। সম্ভাব্য নতুন সভাপতির নাম নিয়ে জোর চর্চা চলছে দলের অন্দরে। এই অবস্থায় পদ্ম শিবিরের ছোট ও মাঝারি নেতারা রীতিমতো চিন্তায় পড়েছেন। কারণ, কাকে ‘ধরলে’ নতুন রাজ্য কমিটি বা নিদেনপক্ষে জেলা কমিটিতে ঠাঁই নিশ্চিত হবে, তা নিয়ে ধন্দের মধ্যে রয়েছেন তাঁরা। সাম্প্রতিক অতীতে রাহুল সিনহা, দিলীপ ঘোষ কিংবা সুকান্ত মজুমদার—যাঁরাই বঙ্গ বিজেপির শীর্ষপদে বসেছেন, তাঁরাই কোর গ্রুপ তৈরি করে নিয়েছেন। যেমন, রাহুলবাবুর সময়ে দলীয় ক্ষমতাবৃত্তে থাকা রীতেশ তিওয়ারি-শমীক ভট্টাচার্যরা কার্যত ব্রাত্য থেকেছেন দিলীপ ঘোষের দু’দফার সভাপতিত্বের সময়। আবার দিলীপবাবুর অত্যন্ত আস্থাভাজন সায়ন্তন বসু-রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়রা প্রকৃতপক্ষে ‘ঠুঁটো’ বনে গিয়েছেন সুকান্তবাবুর কার্যকালে। স্বভাবতই আগামী দিনে গেরুয়া পার্টির বাংলা শাখার ব্যাটন কার হাতে যাবে, তার থেকেও বড় ফ্যাক্টর হল নিয়ন্ত্রক কে হবেন, তা নিয়ে। কোন নেতাকে ‘ম্যানেজ’ করে রাজ্য কিংবা জেলাস্তরে ক্ষমতার ভরকেন্দ্রে থাকা যাবে, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন বিজেপির একাংশের কাছে। 

    এ প্রসঙ্গে আদি এক বিজেপি নেতা বলেন, ‘বর্তমান রাজ্য কমিটিতে অযোগ্যদের ভিড় বেশি। সংগঠনের এক মাতব্বরকে ধরে কিছু তৎকাল নেতা বড়বড় পদ পেয়ে গিয়েছেন। তাঁরা আবার নিজেদের পেটোয়া লোকজনকে বেছে বেছে জেলা সভাপতি কিংবা জেলা কমিটির পদ পাইয়ে দিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন স্তরের নেতারা অভিযোগ করেছেন, টাকার বিনিময়ে এই পদ বিক্রি করা হয়েছে।’ কিছু জেলার ওই নেতারা কয়লা, বালি, গোরু সহ একাধিক খাতের টাকা কলকাতায় ‘গডফাদার’-দের কাছে পাঠাতেন বলেও অভিযোগ। এ বিষয়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস) এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে কাছে অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানান ওই নেতা। তিনি আরও বলেন, ‘২০২১ সালের অক্টোবর-নভেম্বর থেকে সদ্যসমাপ্ত লোকসভা ভোট পর্যন্ত রাজ্য ও জেলাস্তরের পদাধিকারীদের কাজের মূল্যায়ন চলছে। অভিযোগগুলির সত্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বহু ক্ষেত্রেই অভিযোগের সারবত্তাও মিলেছে। এই নেতাদের বিরেুদ্ধে দল কী ব্যবস্থা নেয়, সেটাই এখন দেখার।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)