• আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন, পুলিশের জালে ১
    আজ তক | ১০ আগস্ট ২০২৪
  • কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে একজনকে পাকড়াও করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম সঞ্জয় রায়। শুক্রবার রাতে তাঁকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। ধৃতকে শনিবার আদালতে হাজির করানো হবে। 

    আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ইন্টার্ন চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে যৌন নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া দিয়েছে। এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত বলে অনুমান করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, যৌনাঙ্গে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। নিহত ছাত্রীর দু'চোখ দিয়েই বেরোচ্ছিল রক্ত। মুখে, ঠোঁটে, পেটে, হাতে-পায়ে, পেটে, এমনকি যৌনাঙ্গেও আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। মুখ, চোখ দিয়ে রক্তক্ষরণ, মুখে চোট, ভেঙে যায় নখ, যৌনাঙ্গে রক্তপাত, পায়ে ও পেটে আঘাত পায় বলে প্রমাণ মিলেছে।  ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে রাত ৩টে থেকে ভোর ৬টার মধ্যে। ছাত্রীর গলার ডান দিকের একটা হাড় ভাঙা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সাধারণত গলায় হাত দিয়ে টিপে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করা হলে এরকমভাবে হাড় ভাঙার ঘটনা ঘটে। এক্ষেত্রে সে ধরনের কিছু হয়েছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। হাসপাতালে সেমিনার হলের সামনে ছিল না কোনও সিসিটিভি। গতকাল ঘটনাস্থলে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। 

    পুলিশের কাছে প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, দেহ উদ্ধারের সময়ে ছাত্রীর পরনে ছিল গোলাপি রঙের কুর্তি। যৌনাঙ্গের কাছে পড়েছিল ভাঙা চুলের ক্লিপ। চশমা ভাঙা অবস্থায় পড়েছিল দেহের কাছেই। একটি নীল রঙের ম্যাট্রেসের উপর পড়ে ছিল দেহ।  আরজি কর সূত্রে জানা যায়, সেই নীল ম্যাট্রেসেও মিলেছে রক্তের দাগ, মৃতার প্রচুর চুলও পাওয়া যায়। এর থেকে মনে করা হচ্ছে, ধস্তাধস্তি হয়েছিল। পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁদের মেয়েকে। শুক্রবার আরজি কর হাসপাতালে মহিলা ডাক্তারের অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। কর্মবিরতি ঘোষণা করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। নিহত মহিলা ডাক্তারের মা-বাবাকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিহত ছাত্রীর মা-বাবা আর্জি জানান, 'আমাদের মেয়ের মৃত্যুর ঘটনার সঠিক তদন্ত হোক। নিরপেক্ষ তদন্ত চাই।'

    মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন বিজেপির আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য। তিনি প্রশ্ন তোলেন, মমতার তদন্ত কমিটিতে ইন্টার্ন কেন? ইন্টার্ন নির্জন বাগচী আরজি কর-এর TMCP ইউনিটের সদস্য বলে দাবি করা হয়েছে। এই কমিটির আরও এক ইন্টার্ন, সরিফ হাসান, একজন সক্রিয় তৃণমূল সদস্য বলে দাবি। তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। শুক্রবার রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। 
     
  • Link to this news (আজ তক)