• বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে ধাক্কা, সুযোগ ভারতের সামনে
    বর্তমান | ১০ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: একসময় রেডিমেড পোশাক রপ্তানিতে অপ্রতিরোধ্য ছিল চীন। গোটা বিশ্বে সে দেশে তৈরি জামাকাপড় সরবরাহ হতো। পরবর্তীকালে সেই বাজারে ভাগ বসায় বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম। বাংলাদেশ ধাপে ধাপে রেডিমেড পোশাকের ক্ষেত্রে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে উঠে আসে। চীনের বাণিজ্যে ভাটা পড়লেও, আন্তর্জাতিকস্তরে সেই বাজার দখল করতে সক্ষম হয়নি ভারত। ক্রেডিট রেটিং সংস্থা কেয়ার এজের সমীক্ষায় আশা, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে রেডিমেড পোশাকের রপ্তানির বাজার বাড়াতে সক্ষম হবে ভারত। 

    বর্তমানে বাংলাদেশ অশান্ত হয়ে রয়েছে রাজনৈতিক কারণে। এই অশান্তি আজকের নয়। ক্রেডিট রেটিং সংস্থাটির বক্তব্য, গত দু’টি ত্রৈমাসিকে বাংলাদেশের রেডিমেড পোশাকের রপ্তানির বাজার সমস্যায় পড়েছে। তার কারণ, তারা নির্দিষ্ট সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য ডেলিভারি দিতে পারেনি। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে এবার চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত। আগামী দিনে মাসে গড়ে ২০ থেকে ২৫ কোটি ডলারের রেডিমেড পোশাক রপ্তানি করতে পারবে ভারত।

    আন্তর্জাতিকস্তরে যে নামী ব্র্যান্ডগুলি এবং রিটেল সংস্থাগুলি বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে রেডিমেড জামাকাপড় কেনে, তারা তাদের ‘সাপ্লায়ার’ বা জোগানদার সংস্থার বিষয়ে অত্যন্ত কড়া। অর্থাৎ, যেখান থেকে তারা পোশাক কেনে, হুট করে তাদের ছাড়তে চায় না। কিন্তু এক্ষেত্রে বিপুল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে তাদের। ফলে পাকাপাকিভাবে অনেকেই পুরনো সংস্থা ছেড়ে নতুন সংস্থায় পোশাকের বরাত দিতে চাইবে। ভারত সেই বাজার ধরতে সক্ষম হলে, রপ্তানির অঙ্ক ৩০ থেকে ৩৫ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছে রেটিং সংস্থাটি। এখানকার যে পোশাক প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি আকারে বড়, তারা এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারবে। কেয়ার এজের দাবি, গত এপ্রিল থেকে জুন এই সময়কালে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ১৭ শতাংশ কমেছে।
  • Link to this news (বর্তমান)